ঢাকা , রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে ‌বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo বোয়ালমারীতে ইজিবাইক উল্টে জাহাজের মাস্টার নিহত Logo নরসিংদীতে কুরআনে হাফেজ, হাফেজাদের পাগড়ী, হিজাব বিতরণ ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo আজমানে এন,আর,আই রিয়েল এস্টেটের যাত্রা শুরু হয়েছে Logo তানোরে আদিবাসি পল্লীতে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন একমাত্র জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস -নার্গিস বেগম Logo রাজশাহীতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন লাখো মানুষের ঢল Logo নাগেশ্বরীতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে যুবদলের লিফলেট বিতরণ Logo বাঘায় তারুণ্যের উৎসব ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন বাঘা পৌরসভা Logo আমার এলাকার সামাজিক ও অবকাঠামোর সার্বিক উন্নয়ন আমার লক্ষ্য-নুসরাত তাবাসসুম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কাশিয়ানীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ফাঁসাতে সাম্প্রদায়িক গুজব ছড়ানোর অভিযোগ

ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ফাঁসাতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আহমেদ মিয়া। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার রামদিয়া বাজারে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।

ফারুক আহমেদ মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমরুল হাসান মিয়া উপজেলার নড়াইল গ্রামের একটি মন্দিরের সামনে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করেন। ওই মন্দিরের ভিতরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের নিয়ে চশমা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য শপথ করান। বিষয়টি নিয়ে এলাকার হিন্দুদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

তারা বিষয়টি কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আমার সমর্থক মো. খাজা নেওয়াজকে জানান। ভাইস চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে চশমা প্রতীকের লোকজনকে এ ধরণের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করে সেখান থেকে চলে যান। এরই মধ্যে ইমরুল হাসান মিয়ার শতাধিক সমর্থক সেখানে জড়ো হয়। তাৎক্ষনিক মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের গুজব ছড়িয়ে সেখানে উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। যাহা তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এরপর গোটা ইউনিয়নব্যাপী প্রতিমা ভাংচুরের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। কিন্তু আদৌ ওখানে এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, চশমা প্রতীকের প্রার্থী ইমরুল হাসান মিয়া একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মৃত ইনায়েত হোসেন মিয়ার ছেলে। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিপুল জনসমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতার প্রতি ঈষান্বিত হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। আমি এ ধরণের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক গুজব ও কুৎসার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সে সাথে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফরিদপুরে ‌বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

কাশিয়ানীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ফাঁসাতে সাম্প্রদায়িক গুজব ছড়ানোর অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
লিয়াকত হোসেন লিংকন কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ :

ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ফাঁসাতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আহমেদ মিয়া। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার রামদিয়া বাজারে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।

ফারুক আহমেদ মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমরুল হাসান মিয়া উপজেলার নড়াইল গ্রামের একটি মন্দিরের সামনে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করেন। ওই মন্দিরের ভিতরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের নিয়ে চশমা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য শপথ করান। বিষয়টি নিয়ে এলাকার হিন্দুদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

তারা বিষয়টি কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আমার সমর্থক মো. খাজা নেওয়াজকে জানান। ভাইস চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে চশমা প্রতীকের লোকজনকে এ ধরণের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করে সেখান থেকে চলে যান। এরই মধ্যে ইমরুল হাসান মিয়ার শতাধিক সমর্থক সেখানে জড়ো হয়। তাৎক্ষনিক মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের গুজব ছড়িয়ে সেখানে উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। যাহা তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এরপর গোটা ইউনিয়নব্যাপী প্রতিমা ভাংচুরের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। কিন্তু আদৌ ওখানে এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, চশমা প্রতীকের প্রার্থী ইমরুল হাসান মিয়া একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মৃত ইনায়েত হোসেন মিয়ার ছেলে। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিপুল জনসমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতার প্রতি ঈষান্বিত হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। আমি এ ধরণের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক গুজব ও কুৎসার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সে সাথে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।


প্রিন্ট