মোঃ আলম মৃধা, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি
নরসিংদীর শিবপুরে কাচামালের ব্যবসায়ির পাওনা টাকা না দেওয়ার কারণে আবু সাঈদ নামে এক ব্যক্তি শিবপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসাইন অভিযোগটি দ্রুত আমলে নিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় হাজির করার জন্য এস আই ইসমাইলকে নির্দেশ প্রদান করেন। গত (১০ জানুয়ারি) এস আই ইসমাইল ওসির নির্দেশে উভয় পক্ষকে থানায় হাজির করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা উভয় পক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে বাকি টাকার বিষয়টি মীমাংসা করেন এবং দুই পক্ষকে একসাথে মিলিয়ে দেন।
অভিযোগে জানা যায়, গাউছিয়া বাজারে কাচামালের ব্যবসায় শেয়ারে টাকা দেন শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়া গ্রামের মোঃ নুর ইসলামের ছেলে আবু ছাইদ। সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে দেই দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করে শিবপুর উপজেলার ঘাশিরদিয়া গ্রামের হাছেন আলী সরকারের ছেলে শফিকুল ইসলাম। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরে কুন্দারপাড়া বাস স্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে জাহিদ সরকারের অফিসে উভয় গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিগণ, উভয় ইউনিয়নের সদস্যবৃন্দ ও জাহিদ চেয়ারম্যানসহ দফায় দফায় দরবার পরিচালনা করেন।
আরো জানা যায়, এক পর্যায়ে দরবারে সিদ্ধান্ত মোতাবেক শফিকুল ইসলামের নিকট চার লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আবু সাঈদ পাওনা হয়। এই চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দুই মাসের ভিতরে আবু সাঈদকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে শফিকুল ইসলাম কিছু টাকা দেয়, বাকি টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। নিরুপায় হয়ে আবু সাঈদ, শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসাইন এর বরাবর একটি অভিযোগ করে।
আবু সাঈদ বলেন, আমি নিরহ মানুষ, আমার টাকাগুলো দীর্ঘদিন ধরে শফিকুল ইসলাম দিতেছিলনা। আমাকে দেই দিচ্ছি বলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে আমি শিবপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছি। “ওসি স্যার ভালো মানুষ” আমার অভিযোগটি তিনি আমলে নিয়ে দ্রুত তাদেরকে থানায় হাজির করে। আমার পাওনা টাকা উদ্ধার করে আমাকে দিয়েছে। আমার পরিবার নিয়ে আমি সব সময় মহান আল্লাহ পাকের কাছে উনার জন্য দোয়া করবো।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসাইন বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। জন সাধারণের সেবা করাই আমার কাজ। আমি যতদিন শিবপুর থানায় দায়িত্বে থাকবো শিবপুরে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সর্বদাই আমার দায়িত্ব মনে করি।
প্রিন্ট