-শামীম আহমেদ
অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির এক অজানা গ্রহ, জেইনক্স। গ্রহটির আকাশ সবসময় নীলাভ বেগুনি, আর গাছপালাগুলো একদম রুপালী। সেখানে বাস করে “জেনোরা” নামের এক বিশেষ প্রজাতির প্রাণী, যাদের শরীর মানবের মতো হলেও তাদের ত্বক রূপার মতো চকচকে। জেনোরা জাতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তারা অনুভূতির মাধ্যমে যোগাযোগ করে।
একদিন, এক তরুণ জেনোরা, যার নাম ছিল “লেইরা,” হঠাৎ এক অদ্ভুত সংকেত পায়। সংকেতটি এসেছিল পৃথিবী থেকে। এটি ছিল এক মহাকাশযানের পাঠানো সংকেত, যার মধ্যে একটি পৃথিবীর মানব কন্ঠে ভরা গান। গানের সুরটি এতই মিষ্টি ছিল যে, লেইরা অবচেতনভাবে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।
লেইরা সংকেতের উৎস খুঁজতে শুরু করে। অনেক গবেষণার পর সে জানতে পারে পৃথিবীর এক বিজ্ঞানী, যার নাম “আরিয়ান,” তার মহাকাশযান থেকে সেই গান পাঠিয়েছিল। লেইরা আর দেরি না করে পৃথিবীর দিকে রওনা দেয়, যাতে এই অদ্ভুত গানের উৎস খুঁজে বের করতে পারে।
পৃথিবীতে এসে লেইরা আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করে। প্রথমে আরিয়ান খুব অবাক হলেও ধীরে ধীরে লেইরার অনুভূতি বুঝতে পারে। তাদের মধ্যে এক অদ্ভূত বন্ধন গড়ে ওঠে। পৃথিবীর মানুষ আর ভিন্নগ্রহের প্রাণীর মধ্যে এক অনন্য ভালোবাসার জন্ম হয়।
তবে এই ভালোবাসার পথ সহজ ছিল না। ভিন্নগ্রহের প্রযুক্তি আর পৃথিবীর নিয়মের মাঝে অনেক বাধা আসে। কিন্তু তাদের ভালোবাসা সব বাধা পেরিয়ে যায়, কারণ এটা ছিল অনুভূতির মাধ্যমে গড়া এক অদ্ভুত সম্পর্ক, যা কোনো সীমারেখায় বাঁধা ছিল না।
শেষমেষ, লেইরা আর আরিয়ান এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। তারা একসঙ্গে একটি মিশন শুরু করে, যেখানে পৃথিবী আর জেইনক্স-এর মধ্যে ভালোবাসার বার্তা বিনিময় হবে। এই ভালোবাসা পৃথিবী আর ভিন্নগ্রহের সম্পর্কের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে, যেখানে ভালোবাসা সব সীমারেখা অতিক্রম করে…!
লেখকঃ শামীম আহমেদ
– কবি, লেখক ও সাহিত্যিক
প্রিন্ট