রাজাপুর প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ইউসুফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সায়েম আকনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার পরিচয় ও বিএনপির রাজনীতির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন ব্যক্তিদের সম্পত্তি আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনগণ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল কর্মসূচি পালন করে। তারা সায়েম আকনের “অপশাসন, হুমকি ও লুটপাটমূলক আচরণ” এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, “সায়েম আকন নিজের বাবার শিক্ষকতা ইতিহাসকে সামনে রেখে বিদ্যালয়ের ফলদ গাছগুলোকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে দাবি করেন। পরিপক্ব কাঠাল নিয়ে এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থীকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার চালান। অথচ সেই ফল গাছ স্কুলের এবং দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনাধীন।”
বক্তারা আরও বলেন, “তিনি নিজেকে সাংবাদিক ও বিএনপির নেতা বলে দাবি করে এলাকায় প্রভাব খাটান। কেউ তার কথার বিরোধিতা করলেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার ভয় দেখান। এমনকি বিদ্যালয় থেকে চাঁদা না পেলে চাকরি বা সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।”
“এ ধরনের লোকের হাতে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব থাকা শুধু লজ্জাজনকই নয়, ভয়ংকর। স্কুলের পরিবেশ, ছাত্র-শিক্ষকের মর্যাদা ও নিরাপত্তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ।”
এমনকি বক্তারা আরও বলেন, “সায়েম আকন কাঠাল কোঠায় সভাপতি হয়ে স্কুলে রোপণ করা গাছের কাঠাল তার বাড়ি নিয়ে যান। আমরা লজ্জিত যে সভাপতি স্কুলের গাছের কাঠাল বাসায় নিয়ে যান, তার দ্বারা প্রতিষ্ঠানের কতটা সাফল্য হবে, সেটা দেশবাসী বিবেচনা করবেন।”
এ সময় বক্তারা তার অপসারণ, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের নিকট বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে সায়েম আকনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রিন্ট