মোঃ জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান গ্রামের কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম টম (মাষ্টার)-এর মেয়ে, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম-এর প্রধান লক্ষ্য হল, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় প্রয়োজনীয় মন্ত্রণালয় থেকে সর্বোচ্চ “উন্নয়ন বাজেট” বের করে এনে জনগণের কল্যাণে তা প্রয়োগ করা।
দৌলতপুর উপজেলা আকারে ও জনসংখ্যায় বৃহৎ হলেও, বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। এই বৈষম্য দূর করতে এবং উপজেলাবাসীর উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম। তিনি বিশেষভাবে দৌলতপুর উপজেলার নদীভাঙন এলাকা, যেমন ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের জনগণের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে, মন্ত্রণালয় থেকে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এসেছেন।
উল্লেখযোগ্য প্রকল্পসমূহ:
স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প মরিচা ইউনিয়নে নদীভাঙন রোধে।
বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন বাগোয়ান মধ্যপাড়া বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদ, গোরস্থান, ঈদগাহ, ডাংমড়কা শারদীয়া দুর্গা মন্দির ও গোপালপুর শ্মশানসহ অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য প্রদান।
দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে দুই হাজার শীতার্ত মানুষকে কম্বল বিতরণ।
এছাড়াও, গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালে চিলমারী ইউনিয়নে কম্বল বিতরণের সময়, এলাকার জনগণ নুসরাত তাবাসসুমের কাছে ভাগজোত বাজার থেকে চিলমারী পর্যন্ত পাকা রাস্তা ও সেতু নির্মাণের দাবী জানান। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া, উদয়নগর থেকে বাজুমারা পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে এসেছে এবং নুসরাত তাবাসসুম এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন।
নুসরাত তাবাসসুম বলেন, “দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে বিশেষত প্রাগপুর, রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, মহিষকুন্ডি, ফিলিপনগর এবং মরিচা ইউনিয়নগুলো নদীভাঙনের কারণে বসবাসের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা যুগোপযোগী করার জন্য আমি মন্ত্রণালয়ে সর্বোচ্চ দাবি জানাব। আমি আপনাদের অবহিত করছি, আমি শুধু ব্যক্তিগত উন্নয়নে বিশ্বাসী নই, আমি বিশ্বাস করি যে, দৌলতপুরের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে হবে। এই উপজেলাটি এতদিন বৈষম্যের শিকার, আমি চেষ্টা করবো সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং জনগণের পাশে দাঁড়াতে।”
প্রিন্ট