কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, যশোরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) হাসপাতালের সভাকক্ষে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী সকল চিকিৎসক, নার্স, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ডা. উবায়দুল কাদির উজ্জলের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডা. মোজাম্মেল হোসেন, ডা. এসএম আবু আহসান লাল্টু, ডা. একেএম মেসবাহ উর রহমান, ডা. হারুন অর রশিদ, ডা. শরিফুল আলম খান, ডা. ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ, ডা. আহসান কবীর বাপ্পী, ডা. আবু হায়দার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, জিয়াউর রহমান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন একমাত্র জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তাই সুখে দুখে জনগণের সাথে মিশে ছিলেন তিনি। মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনতেন। বিশ্বে তিনি খ্যাত হন চারণ রাষ্ট্রপতি নামে। তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার প্রথম সুযোগেই সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন। অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে তিনি কৃষি বিপ্লব ও শিল্পের বিকাশ ঘটান। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসাখাতে পরিবর্তন আনেন। তিনি পল্লী চিকিৎসক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, ফলে তার আমলে ২৭ হাজার ৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগপ্রাপ্ত হয় এবং তাতে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধি হয়। জাতিকে একটি মর্যাদাশীল অবস্থানে দাঁড় করান তিনি।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক জিয়াউর রহমান। ২৬ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন অসীম বীরত্বে। সেদিন থেকেই দেশবাসী তার অসাধারণ নেতৃতেৃর পরিচয় পায়। স্বাধীনতাত্তোর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত হয় ঠিক সেই সংকটের একপর্যায়ে জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে শহীদ জিয়া ছিলেন সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক আপসহীন, নির্ভিক যোদ্ধা। জিয়াউর রহমান মানেই বাংলাদেশ।
ডা. রবিউল ইসলাম তুহিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবু হাসনাত মো. আহসান হাবীব, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, যশোরের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আ ন ম বজলুর রশিদ টুলু, ডা. এস এম নাজমুল হক, ডা. আতাহার তূর্য, ডা. মো. তমিজ উদ্দিন, ডা. ফারুক এহতেশাম পরাগ প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন ডা. মোজাম্মেল হোসেন।
প্রিন্ট