ইস্রাফিল হোসেন ইমন, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
পৈত্রিক সম্পত্তি অংশবিশেষ বন্টন না করে জমির উপর নির্মানধিন ইটভাটার ব্যবসা জোরপূর্বক চালিয়ে যাচ্ছে এক আওয়ামী সন্ত্রাসী কাউছার হােসেন । তার শরিকানার জমির উপর ইটভাটারব্যবসা করে চুক্তি অনুযায়ী হিসাব না দিয়ে প্রতিমাসে সে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে চলেছে জনৈক কাউসার হোসেন প্রামানিক।
সে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলাধীন ধুবইল ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের মৃত্যুর রজব আলি প্রামাণিকের ছেলে কাউসার হোসেন।
অভিযুক্ত কাউসার হোসেন তার ভাই-বোন ভাতিজার অংশবিশেষ জমির উপর ইটভাটা ব্যবসার টাকা বাবদ গত ৮ বছরে প্রায় ৭ কোটি টাকা আওয়ামীলীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অংশীদারীদের টাকা পরিশোধ না করে কাউসার আত্মসাৎ করে চলেছে। পাওনা দারদের টাকা যাতে পরিশোধ না করতে হয়,এজন্য চৌকস কাওসার হোসেন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তিনি সিনেমার নাটক সাজিয়ে মিরপুর থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
কাওসার হোসেন বলেছেন, আমার শরিকানাদের জমি ও টাকা বুঝে না দেওয়ায় জিসান ইসরাইল ও টুটুল আমাকে পাখি মারা বন্দুক দিয়ে গুলি করে আহত করেছে।
জিসান ও ইসরাইল বলেছেন, কাউসার আহত ঘটনা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। পাওনাদারদের ঘায়েল করার জন্য তিনি নিজে নিজেই মিথ্যা ঘটনা রূপান্তরিত করে ঠান্ডা মাথায় নাটক সৃষ্টি করে হাসপাতালে নিজেই ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
জিসান ও ইসরাইল সুষ্ঠু বিচার দাবি করে স্থানীয় বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে দিনের পর দিন ধর্ণা দিয়ে চলেছেন।
লিখিত অভিযোগে ওয়ারিশদের ভাষ্যমতে, ওয়ারিশকৃত জমি বাবদ টাকা ইটভাটার ব্যবসায়িক লভ্যাংশ টাকা চাইতে গেলে আওয়ামী লীগের নামধারী সন্ত্রাসী কাউসার হোসেনের কাছে চাইতে গেলে সে চরম ভাবে ক্ষীপ্ত হয়ে যায়। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করে গালিগালাজ করে। এমনকি তার কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে নানাভাবে ভয় ভীতি দেখায়। এহেনো ঘটনা বেগতিক দেখে জিসান ও ইসরাইল বাদী হয়ে কাউসারকে অভিযুক্ত আসামি করে এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে গত কয়েকদিন হলাে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উল্লেখিত লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে,কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলাধীন ধুবইল ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের মৃত্যুর রজব আলি প্রামাণিকের ছেলে মোঃ কাউসার হোসেন। দীর্ঘদিন যাবত জিসান, ইসরাইলসহ আরাে অনেকরই পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ না দিয়ে জবরদখল করে ইটভাটার ব্যবসা জোরপূর্বক ভাবে আট বছর চালিয়ে যাচ্ছে। গত আওয়ামী লীগ আমলে কাউসার হোসেন ছিলেন অত্র এলাকার আওয়ামী সন্ত্রাসী। তার ভয়ে এলাকার অনেকেই বিচার-শালিস করতে রাজি হয় না। এই সুযোগে ইট ভাটার লাভ্য অংশ টাকা কাউকে না দিয়ে গত আট বছরে দাপটের সাথে ব্যবসা করে গেছে কাউছার।
প্রাপ্ত অভিযোগে আরো জানা যায়, জমি সংক্রান্তে ও হিংসাত্ব মুলক আচারনের জেরে, আমাদের ওয়ারিশকৃত পাওনা জমি যাহা কুষ্টিয়া জেলার, মিরপুর থানাধীন, লক্ষিধরদিয়াড় মৌজায়, ১৮৬১ নং খতিয়ানের, ৬১৩ ও ৬১৪ সহঅন্যান্য দাগের সর্বমোট ০ একর ৫৪ শতক ৪১ অযুতাংশ ০০ লক্ষাংশ।
আমাদের ওয়ারিশকৃত ৬১৩ ও ৬১৪ নং দাগের উপরে দীর্ঘ ১৩ বছর পূর্ব হতেই একটি ইটভাটা আমার পিতা-মৃত আশরাফুল ইসলাম জীবিত থাকাবস্থায়, পিতার নিজ দখলিয় এবং নামে লাইসেন্সকৃত “ABC ব্রিকস ” (লাই: নং- ৪৬৯) ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছেন।
জিসান জানান, ২০১১সালে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যায় ভাটা নির্মান করেন আমার পিতা। আমার পিতা-মৃত আশরাফুল ইসলাম মারা যাওয়ার পরে ২০১৬ সালে তখন আমার চাচা কাউছার হোসেন প্রামানিক ভাটার দায়িত্ব নেন। সেই সময় ইট ভাটায় ইট ছিল আনুমানিক ৩,৫০,০০০/= (তিনলক্ষপঞ্চাশ) যাহার আনুমানিক মূল্য ১৬ লক্ষ টাকা। এছাড়া আমার বাবার মৃত্যুর পরে আমার চাচা কাউছার হোসেন তিনি আলোচনা সাপেক্ষে সেই ইট সহ ইটভাটা পরিচালনার দায়িত্ব নেই ২০১৬ সালে। ২০১৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ৮ বছরে ইট ভাটার লাভ আনুমানিক ৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।
পিতার অবর্তমানে আমি জিসান একমাত্র ওয়ারিশ হিসাবে, গত ৮ বছরে ইট ভাটার লাভের অংশ যাহা ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা চাচা কাউছার হোসেনের কাছে থেকে পাওনাদার আমি। তার কাছ থেকে আমার অন্যান্য চাচা আরমান হোসেন, ইট ভাটার লাভের অংশ ৩০ লক্ষ টাকা, ইসরাইল হোসেন ২৮ লক্ষ টাকা এবং ৫ ফুফু জমির ৮ বছরের খাজনা বাবদ ৯ লক্ষ ৬০ টাকা কাউছার হোসেনের কাছ থেকে পাবনে। তিনি টাকা-পয়সা দিতে গড়িমসি করে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কাউকে টাকা ও জমি না দিয়ে জবর দখল করে নিজেই রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।
আমার চাচা কাউছার হোসেন প্রামানিক সে আওয়ামীলীগের পদধারী অবৈধ অস্ত্রধারী দোসর ও আওয়ামী ক্ষমতার বলে বিগত ৮ বছর অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে ইটভাটার ব্যবসা চালিয়ে কাড়িকাড়ি টাকার মালিক বুনে গেছে।
চাচা কাউছারের কাছে পাওনা ৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা চাইতে গেলে নানাভাবে গালা-গালি করেন তিনি। টাকা চাইতে গেলে চরম দুরব্যাবহার এমন কি সে সহ তার পৌষ্য সন্ত্রাসী দিয়ে প্রাননাশের হুমকি দেয় এবং মিথ্যা অভিযোগ তৈরী করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছনে। এবং সাংবাদিকদের টাকা পয়সা দিয়ে একটি সংবাদপত্র কাগজে আমারসহ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন। যা ঘটনাটি রুপকথার গল্প, ভিত্তিহীন বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে সাংবাদিকদের কে দিয়ে মিথ্য সংবাদ প্রকাশ করেছেন। চাচার সাথে ইটভাটার টাকা-পয়সা এবং জমি-জামা নিয়ে দীঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব এটা আমার আত্মিয়স্বজন ও এলাকাবাসীর সবাই জানেন। এই বিষয়টা নিয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও অবগত করিয়েছি । তিনি তদন্ত সাপেক্ষে কাওছারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ স্থানীয় লোক জনেরা সবাই অবগত রয়েছেন । বিবাদী কাউসার হোসেন চরম হিংস্র প্রকৃতির ও আইন অমান্যকারি।
অসহায় এতিম জিসান আইনের প্রতি শ্রুদ্ধা রেখে জানান, আমার পিতার জমির অংশ আমি ওয়ারিশ হিসাবে আমাকে চাচা কাউছার বুঝে না দিয়ে এবং জমি ও ইটভাটা বাবদ ব্যবসার মোটা অংকের প্রাপ্ত টাকা না দিয়ে তিনি নানা ভাবে তালবাহানা করে বেড়াচ্ছেন। চাচা কাউসার হোসেন আমাকে এবং আমার অন্যান্য চাচা এবং ফুফুকে নানাভাবে হুমকি ধামকি হয়রানি করে চলেছেন। টাকা ও জমির ভাগ দিবে না বলে সন্ত্রাসীদের কে দিয়ে বারবার ভয় ভীতি ও মিরপুর থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন কাউছার। জমি ও মোটা অংকের টাকা যাতে না নিতে হয়। এই জন্য তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণ করতে ও পাওনা টাকা পাওয়ার আশায়, হিংসা বিদ্বেষ ভুলে শান্তিতে এক যায়গায় বসবাস করার জন্য সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম এর নিকট সম্প্রতি বিচার সালিশ করা হয়। সেখানে উপস্থিত কাউছার হোসেন আমাদের হিসাব অনুযায়ী মোটা অংকের টাকা পরিশোধ ও জমি ফেরত দিবেন বলে নেতার কাছে অঙ্গীকার করেন। নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সময় নিয়ে সন্ত্রাসী কাউছার ফিল্ম স্টাইলে নাটক সাজিয়ে নিজের পাখি মারা বন্দুকের গুলি হাতে লাগিয়ে রক্তপাত সৃষ্টি করে নামমাত্রা ব্যান্ডেজ দেখিয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। বলেছে আমরা নাকি গুলি করেছি। উদোর পিন্ড বুদুর ঘাড়ে চাপানোর জন্য বিভিন্নভাবে কৌশলবাজ কাউছার নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।
সত্য ঘটনাকে আড়াল করতে মিথ্যা ঘটনা নির অপরাধীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে্ এবং তার কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী এবং অভিযোগকারী জিসান ইসরাইলসহ আরো অনেকেই। উপরোক্ত বিষয়ে দ্রুত সমাধান করতে স্থানীয় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
প্রিন্ট