ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রংপুরে সিও বাজারে এলপিজি গ্যাস পাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ১, বহু আহত Logo ফরিদপুরে ড্যাব এর চিকিৎসকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo গোমস্তাপুরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু Logo শহীদ সাগরের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজঃ শোক আর শূণ্যতায় কাতর বাবা-মা Logo ভাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় উপজেলা জামায়াত আমিরসহ নিহত ৩ Logo তানোরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত প্রায় হাটুরে সেলুন Logo গোপালগঞ্জে নিহতের সংখ্যা পাঁচঃ তিন মামলায় আসামি আড়াই হাজার Logo জুলাই-আগস্টে শহীদদের স্মরণে মহম্মদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল Logo যশোরে মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের ১৬৫তম সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত Logo গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাধারণ সভা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ফরিদপুরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে মিলন খান(৩২) নামে যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম  কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা   অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। রায় প্রদানের সময় আসামি মিলন খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মিলন খান ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর এ  ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রায় এক যুগ পর ২২ জুন বৃহস্পতিবার এ আদেশ দিলেন আদালত।
এছাড়া মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় আসামি মিলন খান। কিশোরী নাবালিকা হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিলে মিলন খান কিশোরীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই কিশোরী পুকুরে পানি আনতে গেলে মিলন খান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে অন্য জায়গায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর বোয়ালমারী থানায় মিলন খানসহ চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিয়ার রহমান ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মিলন খানকে আভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মিলন খানের মা চম্পা বেগম বলেন, মিলনের সাথে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। মেয়ের পরিবার বড় লোক হওয়ায় মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি স্বপন পাল বলেন, এ আদেশে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রংপুরে সিও বাজারে এলপিজি গ্যাস পাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ১, বহু আহত

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপডেট টাইম : ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে মিলন খান(৩২) নামে যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম  কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা   অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। রায় প্রদানের সময় আসামি মিলন খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মিলন খান ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর এ  ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রায় এক যুগ পর ২২ জুন বৃহস্পতিবার এ আদেশ দিলেন আদালত।
এছাড়া মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় আসামি মিলন খান। কিশোরী নাবালিকা হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিলে মিলন খান কিশোরীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই কিশোরী পুকুরে পানি আনতে গেলে মিলন খান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে অন্য জায়গায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর বোয়ালমারী থানায় মিলন খানসহ চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিয়ার রহমান ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মিলন খানকে আভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মিলন খানের মা চম্পা বেগম বলেন, মিলনের সাথে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। মেয়ের পরিবার বড় লোক হওয়ায় মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি স্বপন পাল বলেন, এ আদেশে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।

প্রিন্ট