ঢাকা , সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আড়ানী পৌরসভার রুস্তমপুর হাট ও বাজার পুনঃ ইজারা প্রদান Logo মাগুরায় দাফনের ১২০ দিন পর ছাত্রদলের নেতা রাব্বির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন Logo মাগুরাতে ধলহারা চাঁদপুর বাজারের সাথে সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কাটার অভিযোগ Logo লালপুরে প্রকল্পের অর্থ লোপাট, গরীবের নলকূপ বিত্তবানদের বাড়িতে Logo নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ Logo সরকারি অর্থায়নের রাস্তায় চলাচলে বাঁধা, গৃহবন্দী ২০ পরিবার Logo মধুখালীতে ইয়াবাসহ আমিন খন্দকার গ্রেপ্তার Logo বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নামঃ জানুয়ারিতে উদ্বোধন ও বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু Logo ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজী‌বি হত্যার বিচারের দাবিতে আলফাডাঙ্গায় বিক্ষোভ Logo রাজশাহীতে ঘুষকাণ্ডে সাসপেন্ড হিটলারঃ মামলা করে আপোস করেন নিজেই!
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে সুভাষ সাহার বাড়িতে ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজা

ঢুলিরা সমানে বাজিয়ে চলেছে ঢোল। থেমে নেই ঢাকের শব্দও। সব মিলে কানে তালা লেগে যাওয়ার দশা। ঢাক আর ঢোলের শব্দে চাপা পড়ে যাচ্ছে পুরোহিত মশাইয়ের গলা।

 

তবুও মহানন্দে শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সুভাষ সাহার বাড়িতে। জমাচ্ছেন বললে ভুল হবে, প্রতি বছরই দ‍ুর্গাপূজার সময় অসংখ্য মানুষ পূজা দেখতে ভিড় জমান সুভাষ সাহার বাড়িতে।

 

সুভাষ সাহার বাড়ির দুর্গাপূজা বোয়ালমারীর অন্যতম পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী পূজা। প্রতি বছরই আড়ম্বরের সঙ্গে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বাড়িতে। পূজার সময় বাড়ির সামনে বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে বসে মেলা। মেলায় মিষ্টি, মাটির খেলনা, কাঠের জিনিস, বেলুন, বাঁশি- সবই পাওয়া যায়।

 

বাড়ির সামনে থেকে মেইন রোড পর্যন্ত করা হয় আলোকসজ্জা। পুরো এলাকাটাই যেন সেই আলোয় ঝলমল করতে থাকে। রাস্তার মুখে প্রবেশপথ হিসেবে তৈরি করা হয় বিশাল বড় গেট।

 

গেট দিয়ে ঢুকে সুভাষ সাহার মূল বাড়ি পর্যন্ত যেতেই চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। এক পাশে জমজমাট মেলা, আর বাড়ি পর্যন্ত যেতে হরেক রঙের আলোকসজ্জা যে কারোরই নজর কাড়বে।

 

বাড়ির কাছাকাছি যেতেই ভিড় বেড়ে যায় শতগুণ। ভেতর থেকে ভেসে আসে বিকট শব্দ। শব্দ শুনে মনে হবে সত্যিকারের অসুর হাসছে বুঝি। তবে শুধু অসুরের কণ্ঠই নয়, শোনা যায় দেবী দূর্গার মিষ্টি স্বরও। দিনের চেয়ে রাতের বেলায় সত্যিই এই পূজা বেশি আকর্ষণীয়। রাতের আলোকসজ্জা মুগ্ধ করে সবাইকে। শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নন, জাঁকজমকপূর্ণ এ পূজা দেখতে আসেন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও।

 

দুর্গাপূজার আয়োজনে অনেক বছরের ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছেন সুভাষ সাহা। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই কথাটির জ্বলন্ত প্রমাণ এ বাড়ির দুর্গাপূজা। শুধু বছরের এই নির্দিষ্ট সময়টুকু নয়, সবসময় ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মিলেমিশে থাকার শিক্ষাই যেন দিয়ে চলেছে এই পূজা।

 

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের বড় নগর গ্রামের সাহা পরিবারে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলার সর্ব বৃহত দূর্গা প্রতিমার পায়ে পূস্পাঞ্জলী দিয়ে প্রসাদ গ্রহনের আয়েজন করেছে সাহা পরিবারের পক্ষ থেকে বাবু সুবাস সাহা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আড়ানী পৌরসভার রুস্তমপুর হাট ও বাজার পুনঃ ইজারা প্রদান

error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে সুভাষ সাহার বাড়িতে ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজা

আপডেট টাইম : ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক রিপোর্ট :

ঢুলিরা সমানে বাজিয়ে চলেছে ঢোল। থেমে নেই ঢাকের শব্দও। সব মিলে কানে তালা লেগে যাওয়ার দশা। ঢাক আর ঢোলের শব্দে চাপা পড়ে যাচ্ছে পুরোহিত মশাইয়ের গলা।

 

তবুও মহানন্দে শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সুভাষ সাহার বাড়িতে। জমাচ্ছেন বললে ভুল হবে, প্রতি বছরই দ‍ুর্গাপূজার সময় অসংখ্য মানুষ পূজা দেখতে ভিড় জমান সুভাষ সাহার বাড়িতে।

 

সুভাষ সাহার বাড়ির দুর্গাপূজা বোয়ালমারীর অন্যতম পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী পূজা। প্রতি বছরই আড়ম্বরের সঙ্গে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বাড়িতে। পূজার সময় বাড়ির সামনে বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে বসে মেলা। মেলায় মিষ্টি, মাটির খেলনা, কাঠের জিনিস, বেলুন, বাঁশি- সবই পাওয়া যায়।

 

বাড়ির সামনে থেকে মেইন রোড পর্যন্ত করা হয় আলোকসজ্জা। পুরো এলাকাটাই যেন সেই আলোয় ঝলমল করতে থাকে। রাস্তার মুখে প্রবেশপথ হিসেবে তৈরি করা হয় বিশাল বড় গেট।

 

গেট দিয়ে ঢুকে সুভাষ সাহার মূল বাড়ি পর্যন্ত যেতেই চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। এক পাশে জমজমাট মেলা, আর বাড়ি পর্যন্ত যেতে হরেক রঙের আলোকসজ্জা যে কারোরই নজর কাড়বে।

 

বাড়ির কাছাকাছি যেতেই ভিড় বেড়ে যায় শতগুণ। ভেতর থেকে ভেসে আসে বিকট শব্দ। শব্দ শুনে মনে হবে সত্যিকারের অসুর হাসছে বুঝি। তবে শুধু অসুরের কণ্ঠই নয়, শোনা যায় দেবী দূর্গার মিষ্টি স্বরও। দিনের চেয়ে রাতের বেলায় সত্যিই এই পূজা বেশি আকর্ষণীয়। রাতের আলোকসজ্জা মুগ্ধ করে সবাইকে। শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নন, জাঁকজমকপূর্ণ এ পূজা দেখতে আসেন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও।

 

দুর্গাপূজার আয়োজনে অনেক বছরের ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছেন সুভাষ সাহা। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই কথাটির জ্বলন্ত প্রমাণ এ বাড়ির দুর্গাপূজা। শুধু বছরের এই নির্দিষ্ট সময়টুকু নয়, সবসময় ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মিলেমিশে থাকার শিক্ষাই যেন দিয়ে চলেছে এই পূজা।

 

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের বড় নগর গ্রামের সাহা পরিবারে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলার সর্ব বৃহত দূর্গা প্রতিমার পায়ে পূস্পাঞ্জলী দিয়ে প্রসাদ গ্রহনের আয়েজন করেছে সাহা পরিবারের পক্ষ থেকে বাবু সুবাস সাহা।


প্রিন্ট