ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রোববারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করলে দুর্বার আন্দোলনের আহ্বান Logo কুষ্টিয়ায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের নামে মাহমুদুর রহমানের মামলা Logo বাগাতিপাড়ায় ট্রেনে কেটে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু Logo কুষ্টিয়ার খোকসায় শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ Logo বাঘায় সরেরহাট কল্যাণী শিশুসদন ও বৃদ্ধা নিকেতনের নবনির্মিত ৩ তলা ভবনের উদ্বোধন Logo বালিয়াকান্দিতে সনাতন ধর্মাম্বলী নেতৃবৃন্দের সাথে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো: মিজানুর রহমানের মতবিনিময় Logo নড়াইলে নানা আয়োজনে সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত Logo এক পিস ইলিশ ২০০! Logo দেবী দুর্গার আগমন দোলায়, গমন হাতিতে: কী তাৎপর্য আছে এতে? Logo বিচারকের প্রভাব কাজে লাগিয়ে বেপরোয়া ড্রাইভার গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় সংগীতকে কটাক্ষে ৪৮ নাগরিকের উদ্বেগ

শিক্ষার্থী-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীতসহ জনসাধারণের আবেগ ও অনুভূতির বিষয়কে কটাক্ষ করে একটি গোষ্ঠী তাদের প্রচার ও নানামুখী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৪৮ নাগরিক। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তারা এই নিন্দা জানান।

 

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছি, অসৎ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত জনরায়ে প্রতিষ্ঠিত বিষয়গুলো, এমনকি জাতীয় সংগীত নিয়ে প্রশ্ন তোলার ধৃষ্টতা দেখাতে পরিকল্পিত প্রচার শুরু করেছে। কয়েক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর আমির জাতিকে অতীতের সবকিছু ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অনুমান করা যায়, অতীত বলতে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সেই সময়ে তার দলের ভূমিকা ইত্যাদির কথাই বুঝিয়েছেন। তিনি যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই বোঝাতে চেয়েছেন, তা আরও পরিষ্কার হলো, গত ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী সংবিধান ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে। আমরা তার এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সাম্প্রদায়িক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

 

তারা বলেন, ‘আমরা তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয়, যেখানে সেখানে যা খুশি তাই বলা যায়। যে উদ্দেশ্যে তিনি ৩ সেপ্টেম্বরের সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন, তার বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাতীয় সংগীত ও সংবিধানের মূলনীতির প্রতি কটাক্ষ করে তিনি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আবেগের জায়গায় আঘাত করেছেন।

 

বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘১৯৭১ সালে তরুণ, ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক-সেনা-পুলিশ সদস্যসহ সর্বস্তরের বিভিন্ন ধর্ম-জাতি-বর্ণ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষ জীবনপণ লড়াইয়ে ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে চরম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামের আমাদের এই প্রিয় দেশটিকে স্বাধীন করেছিলেন। এজন্য বর্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী, তাদের দোসর জামায়াতসহ বিভিন্ন দলীয় ঘাতক বাহিনীর অবর্ণনীয় বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষ, নারী-পুরুষ, ছাত্র-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী-লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের অগণিত ব্যক্তি ও পরিবারকে। সেই ইতিহাস এই দেশের প্রজন্মের পর প্রজন্মের মানুষ মনে রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও মনে রাখবে। এই ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কথা বলার অধিকার কিংবা দুঃসাহস কারোরই থাকার কথা নয়।’

 

শত শত শিক্ষার্থী, শিশু, কিশোরী-কিশোর ও জনতার প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্রের যে বিজয় অর্জিত হলো, তাকে সংকীর্ণ দলীয় ও গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিলের জন্য কোনো সাম্প্রদায়িক অথবা অন্য গোষ্ঠী যাতে ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সদা সতর্ক, সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

 

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পারভীন হাসান, উপাচার্য, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি; অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, সাধারণ সম্পাদক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদ; অ্যাডভোকেট তবারক হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী; ড. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী; শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি; রেহনুমা আহমেদ, লেখক; ড. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ঈশানী চক্রবর্তী, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জোবায়দা নাসরিন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক মাহা মির্জা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. সাদাফ নুর, গবেষক, ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়; ড. নূর মোহম্মদ তালুকদার, সভাপতি, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় তালুকদার; মাযহারুল ইসলাম বাবলা, নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত; এ এস এম কামালউদ্দিন, সভাপতি, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; মফিদুর রহমান লাল্টু, সাধারণ সম্পাদক, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; সালেহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন; মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ; রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ট্রাস্ট; ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জাকির হোসেন, প্রধান নির্বাহী, নাগরিক উদ্যোগ; অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, এমএসএফ; ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; ব্যারিস্টার শাহদাত আলম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট এমএম খালেকুজ্জামান, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট মো. আজিজুল্লাহ ইমন, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট প্রিন্স আল মাসুদ, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট শায়লা শারমীন, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; তাপসী রাবেয়া, মানবাধিকারকর্মী; অ্যাডভোকেট আজমীর হোসেন, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; দীপায়ন খীসা, মানবাধিকারকর্মী; বাপ্পী মাশেকুর রহমান, মানবাধিকারকর্মী ও সংগীতশিল্পী; হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকারকর্মী; মুক্তাশ্রী চাকমা, কোর গ্রুপ, সাঙ্গাত; শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

রোববারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করলে দুর্বার আন্দোলনের আহ্বান

error: Content is protected !!

মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় সংগীতকে কটাক্ষে ৪৮ নাগরিকের উদ্বেগ

আপডেট টাইম : ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সময়ের প্রত্যাশা অনলাইন ডেস্ক :

শিক্ষার্থী-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীতসহ জনসাধারণের আবেগ ও অনুভূতির বিষয়কে কটাক্ষ করে একটি গোষ্ঠী তাদের প্রচার ও নানামুখী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৪৮ নাগরিক। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তারা এই নিন্দা জানান।

 

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছি, অসৎ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত জনরায়ে প্রতিষ্ঠিত বিষয়গুলো, এমনকি জাতীয় সংগীত নিয়ে প্রশ্ন তোলার ধৃষ্টতা দেখাতে পরিকল্পিত প্রচার শুরু করেছে। কয়েক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর আমির জাতিকে অতীতের সবকিছু ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অনুমান করা যায়, অতীত বলতে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সেই সময়ে তার দলের ভূমিকা ইত্যাদির কথাই বুঝিয়েছেন। তিনি যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই বোঝাতে চেয়েছেন, তা আরও পরিষ্কার হলো, গত ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী সংবিধান ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে। আমরা তার এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সাম্প্রদায়িক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

 

তারা বলেন, ‘আমরা তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয়, যেখানে সেখানে যা খুশি তাই বলা যায়। যে উদ্দেশ্যে তিনি ৩ সেপ্টেম্বরের সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন, তার বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাতীয় সংগীত ও সংবিধানের মূলনীতির প্রতি কটাক্ষ করে তিনি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আবেগের জায়গায় আঘাত করেছেন।

 

বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘১৯৭১ সালে তরুণ, ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক-সেনা-পুলিশ সদস্যসহ সর্বস্তরের বিভিন্ন ধর্ম-জাতি-বর্ণ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষ জীবনপণ লড়াইয়ে ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে চরম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামের আমাদের এই প্রিয় দেশটিকে স্বাধীন করেছিলেন। এজন্য বর্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী, তাদের দোসর জামায়াতসহ বিভিন্ন দলীয় ঘাতক বাহিনীর অবর্ণনীয় বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষ, নারী-পুরুষ, ছাত্র-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী-লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের অগণিত ব্যক্তি ও পরিবারকে। সেই ইতিহাস এই দেশের প্রজন্মের পর প্রজন্মের মানুষ মনে রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও মনে রাখবে। এই ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কথা বলার অধিকার কিংবা দুঃসাহস কারোরই থাকার কথা নয়।’

 

শত শত শিক্ষার্থী, শিশু, কিশোরী-কিশোর ও জনতার প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্রের যে বিজয় অর্জিত হলো, তাকে সংকীর্ণ দলীয় ও গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিলের জন্য কোনো সাম্প্রদায়িক অথবা অন্য গোষ্ঠী যাতে ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সদা সতর্ক, সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

 

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পারভীন হাসান, উপাচার্য, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি; অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, সাধারণ সম্পাদক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদ; অ্যাডভোকেট তবারক হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী; ড. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী; শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি; রেহনুমা আহমেদ, লেখক; ড. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ঈশানী চক্রবর্তী, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জোবায়দা নাসরিন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক মাহা মির্জা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. সাদাফ নুর, গবেষক, ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়; ড. নূর মোহম্মদ তালুকদার, সভাপতি, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় তালুকদার; মাযহারুল ইসলাম বাবলা, নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত; এ এস এম কামালউদ্দিন, সভাপতি, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; মফিদুর রহমান লাল্টু, সাধারণ সম্পাদক, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; সালেহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন; মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ; রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ট্রাস্ট; ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জাকির হোসেন, প্রধান নির্বাহী, নাগরিক উদ্যোগ; অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, এমএসএফ; ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; ব্যারিস্টার শাহদাত আলম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট এমএম খালেকুজ্জামান, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট মো. আজিজুল্লাহ ইমন, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট প্রিন্স আল মাসুদ, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; অ্যাডভোকেট শায়লা শারমীন, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; তাপসী রাবেয়া, মানবাধিকারকর্মী; অ্যাডভোকেট আজমীর হোসেন, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; দীপায়ন খীসা, মানবাধিকারকর্মী; বাপ্পী মাশেকুর রহমান, মানবাধিকারকর্মী ও সংগীতশিল্পী; হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকারকর্মী; মুক্তাশ্রী চাকমা, কোর গ্রুপ, সাঙ্গাত; শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি।