তাহসিনুল আলম সৌরভ, সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
শনিবার সকাল ৬টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিশুর মৃত্যু হয়।রোববার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য চরবাগ্যা গ্রামের আব্দুল কাদিরের বাড়ির উঠানে ওই ঘটনা ঘটে।
শিশু মো. তামিম হোসেন একই ইউনিয়নের মধ্য চরবাগ্যা গ্রামের মো. দুলালের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশু তামিম নানার বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করত। গত ১৩ নভেম্বর নিজেদের বাড়ির উঠানে ভিকটিমের মামাতো ভাই মো. ইসমাইলের (৪) ও চাচাতো ভাই মো. জুনায়েদের (৭) সঙ্গে সে খেলাধুলা করছিল। খেলার সময় ইসমাইল ও জুনায়েদের ঝগড়া লেগে যায়। একপর্যায়ে শিশু ইসমাইল তার হাতের কাছে থাকা দা জুনায়েদকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারে। ওই সময় জুনায়েদ সরে গেলে ভুলবশত তামিমের কপালে গিয়ে আঘাত লাগে। এতে তার মাথা কেটে গুরুতর জখম হয়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা প্রথমে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে ১৫ নভেম্বর রাতে ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ১৬ নভেম্বর সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লা থেকে ২৪ সৈনিকের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিচ্ছে জাপান
এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রিন্ট