ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মুকসুদপুর পৌর কার্যালয়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার বসবাস

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভা কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বাস করছেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম।

 

জানা যায়, মো. মাসুদ আলম ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। তার বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায়। যোগদানের পর থেকে প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি পৌর কার্যালয়ে বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে তিনি পৌর কার্যালয়ের তৃতীয় তলার ৩০০ নম্বর কক্ষে বসবাস করছেন।

 

এই সময়ে তিনি পৌর কার্যালয়ের ফ্রিজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সহ সব সুবিধা বিনামূল্যে ভোগ করছেন। এছাড়া, ব্যক্তিগত কাজে তিনি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ব্যবহার করছেন, এমনকি রান্নাবান্নার কাজও একজন মাস্টাররোলে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, রিক্তা আক্তারকে দিয়ে করাচ্ছেন।

 

পৌর কার্যালয়ে এই কর্মকর্তার অবৈধ বসবাসের কারণে রাতের বেলা বহিরাগত লোকজনের অবাধ যাতায়াতও হচ্ছে। পৌর কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও অন্যান্য সুবিধা নিয়মিতভাবে ব্যবহার করে আসছেন তিনি। পৌরসভার কর্মচারীদের মধ্যে তার এই স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মচারী বলেন, “পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তৃতীয় তলায় বসবাসের সুবাদে প্রায়ই তিনি ইচ্ছামতো অফিস করেন। বেশিরভাগ সময় তিনি মধ্যাহ্নভোজের পর চেয়ারে বসেন না বরং তৃতীয় তলায় বিশ্রামে থাকেন।”

 

এদিকে, মুকসুদপুরের এলাকাবাসী এ বিষয়ে পৌর প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম এ ব্যাপারে বলেন, “দেখাশোনার কোনো লোক না থাকায় অফিসের প্রয়োজনে আমি এখানে থাকতেছি।”

 

 

এ বিষয়ে মুকসুদপুর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, “পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে থাকেন, এমন তথ্য আমার জানা নেই। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসবাস করার বিষয়টি বিধির মধ্যে পড়ে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন

error: Content is protected !!

মুকসুদপুর পৌর কার্যালয়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার বসবাস

আপডেট টাইম : ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
মো: বাদশাহ মিয়া, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভা কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বাস করছেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম।

 

জানা যায়, মো. মাসুদ আলম ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। তার বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায়। যোগদানের পর থেকে প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি পৌর কার্যালয়ে বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে তিনি পৌর কার্যালয়ের তৃতীয় তলার ৩০০ নম্বর কক্ষে বসবাস করছেন।

 

এই সময়ে তিনি পৌর কার্যালয়ের ফ্রিজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সহ সব সুবিধা বিনামূল্যে ভোগ করছেন। এছাড়া, ব্যক্তিগত কাজে তিনি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ব্যবহার করছেন, এমনকি রান্নাবান্নার কাজও একজন মাস্টাররোলে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, রিক্তা আক্তারকে দিয়ে করাচ্ছেন।

 

পৌর কার্যালয়ে এই কর্মকর্তার অবৈধ বসবাসের কারণে রাতের বেলা বহিরাগত লোকজনের অবাধ যাতায়াতও হচ্ছে। পৌর কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও অন্যান্য সুবিধা নিয়মিতভাবে ব্যবহার করে আসছেন তিনি। পৌরসভার কর্মচারীদের মধ্যে তার এই স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মচারী বলেন, “পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তৃতীয় তলায় বসবাসের সুবাদে প্রায়ই তিনি ইচ্ছামতো অফিস করেন। বেশিরভাগ সময় তিনি মধ্যাহ্নভোজের পর চেয়ারে বসেন না বরং তৃতীয় তলায় বিশ্রামে থাকেন।”

 

এদিকে, মুকসুদপুরের এলাকাবাসী এ বিষয়ে পৌর প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম এ ব্যাপারে বলেন, “দেখাশোনার কোনো লোক না থাকায় অফিসের প্রয়োজনে আমি এখানে থাকতেছি।”

 

 

এ বিষয়ে মুকসুদপুর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, “পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে থাকেন, এমন তথ্য আমার জানা নেই। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসবাস করার বিষয়টি বিধির মধ্যে পড়ে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


প্রিন্ট