ইস্রাফিল হােসেন ইমন, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মেহেদী হাসান রাসেল (৩০) নামে এক ভুয়া এম বি বি এস ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিকিৎসার এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন না করেই তিনি নিয়মিত চেম্বার করে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ভেড়ামারা রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন ঢাকা কোর্চস্ট্যান্ডের কাছে ভেড়ামারার নিরাময় ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ভুয়া ডাক্তার মেহেদী হাসান রাসেল কে।
সে রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া উপজেলার মথুরা ডাঙ্গা গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে।
ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার মেহেদী হাসান রাসেল ভূয়া নাম,পদবী বা ডিগ্রী ব্যবহার করে তিনি ভেড়ামারা নিরাময় এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩মাস ধরে চিকিৎসা সেবার নামে রুগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন।
ভেড়ামারা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত নিরাময় ক্লিনিকের মালিক ডাক্তার আবু বক্কর সিদ্দিক র্দীঘদিন ধরে ভুয়া এমবিএস ডাক্তারের নাম পদবী প্রেসক্রিপশন তৈরি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে জমজমাট ব্যবসা করে আসছিলেন । এই ক্লিনিকে রয়েছে নানা অনিয়ম ও ব্যাপক দূর্নীতির নানা অভিযোগ।
অবশেষে অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ধরা পড়েন ওই ভুয়া চিকিৎসক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে ২০১০ এর ২৯ ধারায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যৌথ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম ও জেলা সিভিল সার্জন আকুল উদ্দিন,ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মিজানুর রহমান। এসময় পুলিশের একটি দল অভিযানে সহযোগিতা দেন।
জেলা সিভিল সার্জন আকুল উদ্দিন জানান,ওই ভদ্রলোকের পল্লী চিকিৎসকের একটি সার্টিফিকেট রয়েছে। তিনি তার তৈরি প্রেসক্রিপশন যেসব রোগের চিকিৎসার কথা উল্লেখ করেছেন তা প্রতারণার শামিল।
আরও পড়ুনঃ হারিয়ে যাচ্ছে নবান্নের সেই দিনগুলি
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভুয়া চিকিৎসককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে ২০১০ এর ২৯ ধারায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যহত থাকবে।
প্রিন্ট