লিয়াকত হোসেন লিংকন, স্টাফ রিপোর্টার
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ৩৭ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা, যার ফলে তাদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত এই স্বাস্থ্যকর্মীরা চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। গত আগস্ট মাসে তারা চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে ঢাকায় আন্দোলন করেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত হলেও বেতন না পাওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন খাত থেকে চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জটিলতার কারণে সিএইচসিপিদের বেতন বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে তারা চরম অর্থ কষ্টে ভুগছেন।
খায়েরহাট কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার পারভীন টিউলিপ বলেন, “আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছি, অথচ নিজেরাই অর্থ কষ্টে ভুগছি। বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি।”
বেথুড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “পাঁচ মাস নিয়মিত কাজ করেও বেতন পাচ্ছি না। সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। কবে বেতন পাব, তাও অনিশ্চিত। দ্রæত বকেয়া বেতনসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছি।”
কাশিয়ানী উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মশিউর রহমান বলেন, “উন্নয়ন খাত থেকে চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন, যা গত পাঁচ মাসেও হয়নি। এর ফলেই আমরা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।”
আরও পড়ুনঃ চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ম্যাটসের কার্যক্রম অব্যাহত
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বলেন, “এটি কেবল কাশিয়ানী উপজেলার সমস্যা নয়; সারা দেশেই সিএইচসিপিদের বেতন বন্ধ রয়েছে।”
প্রিন্ট