ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের দেওয়ালীকান্দা গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিজের ঘর ভাংচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কার্তাচ্ছে ৭০ বছরের বৃদ্ধা জরিনা বেগম। আহত জরিনা বেগম ওই গ্রামের আব্দুস ছাত্তার শেখ এর স্ত্রী। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার (৮আগষ্ট) রাতে দেওয়ালীকান্দা গ্রামে গ্রাম্য দুদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান সাইনের সমর্থক মজিবুর ফকির ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এর সমর্থক সাহেব মাতুব্বরের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিলো। এর জের ধরে সোমবার রাতে মজিবুর ফকিরের সমর্থক নান্নু মোল্ল্যা ঢাকা থেকে বাড়ি আসলে তার উপর হামলা করে প্রতিপক্ষ সাহেব মাতুব্বরের সমর্থকেরা।
নান্নু মোল্লা অভিযোগ করে বলেন,আমি ঢাকায় থাকি, ব্যবসা বানিজ্য করি বাড়ি তেমন একটা থাকি না। গত সোমবার বাড়িতে আসলে সাহেব মাতুব্বর এর হুকুমে ইউসুব মোল্লা, বাচ্চু মোল্লা, লিটু মোল্লাসহ ২০/৩০ জন লোক আমার বাড়ি হামলা করে। বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট করে টাকা পয়সা, পেঁয়াজ, পাট, টিভি নিয়ে যায়। এসময় আমার মা ও স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাদের মারধর করে। এসময় তারা গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি বলেন এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
অপরদিকে সাহেব মাতুব্বর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই মারামারি বা সংঘর্ষ দলীয় কোন ব্যাপার না। নান্নু মোল্লার ফুফাতো ভাই, ইউসু মোল্লা ও বাচ্চু মোল্লা তাদের পারিবারিক ঝামেলা এটা। এখানে আমার হুকুম দেওয়ার কোন বিষয় না। যদি কেউ বলে থাকে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আর তাছাড়া উভয়েরই বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে। উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে রেল রক্ষা কমিটির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
এব্যাপারে সালথা থানার এস আই আনিচুর রহমান বলেন, এব্যাপারে দুই পক্ষ দুটি অভিযোগ করেছেন, তদন্ত চলছে উভয় পক্ষেরই বাড়িঘর ভাংচুর হয়েছে। একপক্ষের দুজন হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে। আইগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
প্রিন্ট