জসীমউদ্দীন ইতি:
বুড়িরবাধ এলাকায় প্রায় ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ৭০টি অবৈধ চায়না রিং জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন। পরে জব্দকৃত জালগুলো মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বুড়িরবাধ এলাকার বিভিন্ন স্থানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নদী থেকে অবৈধ চায়না রিং জাল জব্দ করার পাশাপাশি নদীর আশেপাশের বিভিন্ন স্থান থেকেও এসব অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে জালগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়।
অভিযানে ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সারোয়ারে আলম খান প্রমুখ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “রিং জাল কিংবা কারেন্ট জাল সবরকম মাছের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই জালে বিশেষত দেশীয় ছোট মাছ ও মাছের পোনা সহজেই আটকা পড়ে এবং অনেক মাছ ও পোনা মারা যায়। এগুলো আমাদের মাছের জন্য অনেক ক্ষতিকর।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর থেকেই বুড়িরবাধ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদীতে এবং নদীর আশেপাশে পাতানো মাছ ধরার নিষিদ্ধ ৭০টি জাল জব্দ করা হয়। আগেই টের পেয়ে জাল মালিকেরা পালিয়ে যায়। পরে জব্দকৃত জালগুলো মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পুলিশ, মেম্বার ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলেই পুড়িয়ে ফেলা হয়।”
তিনি আরও জানান, “এছাড়াও এসব জাল তৈরি, ক্রয়-বিক্রয়, গুদাম ও বাজারজাতকরণে আমাদের নজরদারি সোচ্চার রয়েছে। এর আগে, সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি গুদামে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি এবং আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
প্রিন্ট