ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জমি বিক্রির টাকা না দেওয়ায় এবং অতিরিক্ত জমি জবর দখলের পায়তারার অভিযোগে সদ্য অপসারিত মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (অবঃ) সচিব (ফুড পরিচালক) বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এ. কে আজাদ (৭৫)। তিনি উপজেলাধীন পানাইল গ্রামের বাসিন্দা।
আজ শনিবার ১২টায় ক্যাফে এন্ড বারবিকিউ রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, বিগত ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সদর বাজারে ৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৩ শতাংশ জমি তৎকালীন পৌর মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টুর নিকট রেজিষ্ট্রি মুলে বিক্রয় করি। ৩ শতাংশ জমির মুল্য বাবদ এক কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলে রুপালি ব্যাংকে নিয়ে যায়। ব্যাংকে যাওয়ার পর একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ৫০ লক্ষ টাকার চেক দেন ঝন্টু। আর বাকী ৫০ লক্ষ টাকা ক্যাশ দেওয়ার কথা বলে আমাকে মেয়র ঝন্টু তার বাসায় নিয়ে যায়।
তার বাসায় যাওয়ার পরে আমাকে ক্যাশ ২০ লক্ষ টাকা দেয় এবং ৩০ লক্ষ টাকা আগামী সপ্তাহে দেওয়ার ওয়াদা করে সময় নেন। পরবর্তীতে ২৭ আগস্ট আমাকে আরও ৫লক্ষ টাকা দেন।
এমতাবস্থায় মোট বাকী ৭৫লক্ষ টাকা পরিশোধের জন্য আমার নিকট থেকে আগের চেক ফেরত নিয়ে পুনঃরায় একটি চেক প্রদান করেন।
১৬ মাস গত হয়ে গেলেও অদ্যবধি বাকী ৭৫ লক্ষ টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহান করছেন মেয়র ঝন্টু। তিনি আরও বলেন টাকা চাইলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছে মেয়র ঝন্টু। এখন য়ামার পাওনা টাকা না দিয়ে বাকী ৩ শতাংশ জমি দখলের পায়তারা করছেন।
সদ্য অপসারিত মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টু বলেন, আমি তার সমস্ত পাওনা টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি, আমার কাছে সে (এস. এ. কে আজাদ) আর কোন টাকা পাবে না।
প্রিন্ট