হঠাৎ দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
মূল্যসূচকের পতন হলেও এদিন ডিএসইতে যে পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে বেড়েছে তার থেকে বেশি। বজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫১টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দাম।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭১৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৯৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে।
টাকার অংকে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ৪২ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু সিরামিকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। আর ২৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডরিন পাওয়ার।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ফরচুন সুজ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, লিগাসি ফুটওয়্যার, স্টাইল ক্রাফট, জেএমআই সিরিঞ্জ এবং গ্রামীণফোন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে আজ ২১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেন হওয়া ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে ১২৫টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১০টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দাম।
প্রিন্ট