ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আগামীকালের পর থেকে যদি কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়, তার অবস্থা হবে ভয়াবহঃ -সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল Logo ফরিদপুর সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত, আহত ৫ Logo সমাজসেবার বিশেষ অবদানে সম্মাননা স্মারক পেলেন দৌলতদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান রহমান মন্ডল Logo তানোরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী Logo খোকসায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এমপি আব্দুর রউফ Logo লালপুরে প্রেমিককে কুপিয়ে জখম, প্রেমিকা আটক Logo গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী মাহেন্দ্র ও ট্রলির সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৪ Logo নগরকান্দায় প্রবীণ গ্রাম্য ডাক্তারকে পিটিয়ে আহত করলো কথিত সাংবাদিক Logo চরভদ্রাসনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা Logo তানোরে সার্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহণে ব্যাপক সাড়া
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পঞ্চদশ সংশোধনী গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছেঃ -প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে এবং অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করে কারা ক্ষমতায় যাবে, তার সিদ্ধান্ত নিতে জনগণকে ক্ষমতা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনার ফলে এবং দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার কারণে দেশে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। তাই এখন কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে পারছে না।’

প্রধানমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও এর ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে ‘মার্শাল ল’ জারি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকে সর্বোচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছে। ফলে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে এসে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। এই গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের শক্তিকে আরও দৃঢ় করা এবং ক্ষমতায় কে যাবে না যাবে, জনগণই যেন তা নির্ধারণ করতে পারে তা নিশ্চিত করা।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনী আনয়নের ফলে দেশে একটা স্থিতিশীলতা এসেছে, কারণ দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। এখন আর অনির্বাচিত কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারছে না। যদিও সেটা দেশের তথাকথিত একশ্রেণির বুদ্ধিজীবীর অন্তজ্বালার কারণ। তারা কোনো দিন ভোটে জিততে পারবে না, রাজনীতি করতে পারবে না বা জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াবার মতো সাহস তাদের নেই। কোনো মতে ক্ষমতায় কীভাবে যাবে তাই তারা সব সময় এই গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করে। তাদের এই প্রচেষ্টা আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে ২১ বছর পর সরকারে এসে আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর দেশ পরিচালনার পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল; যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র ঘটনা। এ ছাড়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, জরুরি অবস্থা জারি বা মার্শাল ল নানা ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তনই হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের গত তিন মেয়াদের টানা শাসনের ফলে ২০০৯-২৩ বাংলাদেশ বদলে গেছে। এ সময় নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রস্তাবে নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারকে বাদ দিয়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনে নির্বাচন কমিশন আইন পাসসহ নির্বাচন কমিশনের ব্যয় নির্বাহের বিষয়টাও স্বাধীন করে দেওয়া তার সরকারের পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত রংপুর সিটির মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে শপথবাক্য পাঠ করান এবং নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী মোস্তফা টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে জয়ী হন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্বাচিত মেয়র ও সব কাউন্সিলরকে অভিনন্দন জানিয়ে তাদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

ভূমিহীন-গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়ার সময় কে কোন দলের তা দেখিনি। মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখেছি। মুজিবের এই বাংলায় একটি মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না, তা তার সরকার নিশ্চিত করবে।’

জনগণ যাতে সরকারের সেবা পায় তা নিশ্চিত করার জন্যই রংপুর বিভাগ করে দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা এবং রংপুর অঞ্চল সব সময়ই ছিল দুর্ভিক্ষ বা মঙ্গাপীড়িত। সে জন্যই আমি চেয়েছি যে এখানে যদি একটা বিভাগ হয় এবং সেবা যদি জনগণের দোরগোড়ায় আমরা পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে মানুষ ভালো থাকবে।’

এরপর রংপুর সিটি করপোরেশন করে দিয়ে তার সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পেরও একটি খতিয়ান তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। রংপুর সিটির ৮টি প্রকল্পে ১ হাজার ১৭৩ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে কোন দলের মেয়র, সেটা কিন্তু দেখি নাই। আমরা কিন্তু মানুষের জন্যই কাজ করেছি। এটাই হলো বাস্তব কথা।’ তিনি এ সময় করোনা-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য দেশবাসীর প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। -বাসস

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীকালের পর থেকে যদি কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়, তার অবস্থা হবে ভয়াবহঃ -সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল

error: Content is protected !!

পঞ্চদশ সংশোধনী গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছেঃ -প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে এবং অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করে কারা ক্ষমতায় যাবে, তার সিদ্ধান্ত নিতে জনগণকে ক্ষমতা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনার ফলে এবং দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার কারণে দেশে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। তাই এখন কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে পারছে না।’

প্রধানমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও এর ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে ‘মার্শাল ল’ জারি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকে সর্বোচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছে। ফলে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে এসে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। এই গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের শক্তিকে আরও দৃঢ় করা এবং ক্ষমতায় কে যাবে না যাবে, জনগণই যেন তা নির্ধারণ করতে পারে তা নিশ্চিত করা।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনী আনয়নের ফলে দেশে একটা স্থিতিশীলতা এসেছে, কারণ দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। এখন আর অনির্বাচিত কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারছে না। যদিও সেটা দেশের তথাকথিত একশ্রেণির বুদ্ধিজীবীর অন্তজ্বালার কারণ। তারা কোনো দিন ভোটে জিততে পারবে না, রাজনীতি করতে পারবে না বা জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াবার মতো সাহস তাদের নেই। কোনো মতে ক্ষমতায় কীভাবে যাবে তাই তারা সব সময় এই গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করে। তাদের এই প্রচেষ্টা আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে ২১ বছর পর সরকারে এসে আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর দেশ পরিচালনার পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল; যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র ঘটনা। এ ছাড়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, জরুরি অবস্থা জারি বা মার্শাল ল নানা ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তনই হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের গত তিন মেয়াদের টানা শাসনের ফলে ২০০৯-২৩ বাংলাদেশ বদলে গেছে। এ সময় নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রস্তাবে নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারকে বাদ দিয়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনে নির্বাচন কমিশন আইন পাসসহ নির্বাচন কমিশনের ব্যয় নির্বাহের বিষয়টাও স্বাধীন করে দেওয়া তার সরকারের পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত রংপুর সিটির মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে শপথবাক্য পাঠ করান এবং নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী মোস্তফা টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে জয়ী হন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্বাচিত মেয়র ও সব কাউন্সিলরকে অভিনন্দন জানিয়ে তাদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

ভূমিহীন-গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়ার সময় কে কোন দলের তা দেখিনি। মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখেছি। মুজিবের এই বাংলায় একটি মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না, তা তার সরকার নিশ্চিত করবে।’

জনগণ যাতে সরকারের সেবা পায় তা নিশ্চিত করার জন্যই রংপুর বিভাগ করে দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা এবং রংপুর অঞ্চল সব সময়ই ছিল দুর্ভিক্ষ বা মঙ্গাপীড়িত। সে জন্যই আমি চেয়েছি যে এখানে যদি একটা বিভাগ হয় এবং সেবা যদি জনগণের দোরগোড়ায় আমরা পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে মানুষ ভালো থাকবে।’

এরপর রংপুর সিটি করপোরেশন করে দিয়ে তার সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পেরও একটি খতিয়ান তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। রংপুর সিটির ৮টি প্রকল্পে ১ হাজার ১৭৩ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে কোন দলের মেয়র, সেটা কিন্তু দেখি নাই। আমরা কিন্তু মানুষের জন্যই কাজ করেছি। এটাই হলো বাস্তব কথা।’ তিনি এ সময় করোনা-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য দেশবাসীর প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। -বাসস