ঢাকা , সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লাইসেন্স নেই তাতে কি! প্রশাসন ম্যানেজ করেই ভাটা চালাই Logo মিরপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন Logo বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন Logo রূপগঞ্জে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী শাহিন গ্রেফতার Logo রোমানিয়ায় প্রবাসীবান্ধব শ্রম উইং প্রধান মহসীন মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও স্বারকলিপি প্রদান Logo কুষ্টিয়ায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ৩০ Logo ভেড়ামারা উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আত্মপ্রকাশ Logo প্রধান শিক্ষক শফিকুলের অনিয়ম, দূর্নীতির তদন্ত আবারো শুরু Logo সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন Logo চালক ও সুপার ভাইজারকে মারধরের প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রোমানিয়ায় প্রবাসীবান্ধব শ্রম উইং প্রধান মহসীন মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও স্বারকলিপি প্রদান

কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো প্রধান

রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়াকে নিয়ে তথাকথিত বাংলাদেশ কমিউনিটি গ্রুপের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সভা করেছে দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। পরে তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদাশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নিকট প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে স্বারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

গত ০৮ জানুয়ারি চার্জ দ্যা এফ্যেয়ারসের মাধ্যমে রোমানিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষে মোঃ ফিরোজ খান স্বাক্ষরিত স্বারকলিপি বাংলাদেশ সরকারে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়। এর আগে রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে।এতে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী বাংলাদেশী আবদুল মুহিত আলমগীর,মোঃ দিদারুল ইসলাম,মোঃ সুরুজ্জামান সরকার,মোঃ আলী নিশাদ প্রমুখ।এসময় বক্তরা বাংলাদেশ উইং প্রধান মহাসীন মিয়ার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রীমহল কর্তৃক প্রচারিত মিথ্যা, উদ্দেশ্যমুলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ষড়যন্ত্রকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি বিশেষ আহবান জানান।

এ বিষয় রোমানিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির সমন্বয়ক মোঃ ফিরোজ খান অভিযোগ করে জানান, রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিভাগের প্রধান মহাসীন মিয়া ২০২৩ সনে এখানে পদায়ন হবার পর থেকেই নিষ্ঠার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। রোমানিয়া ইমিগ্রেশনের সাথে বারবার আলোচনা ও চিঠি মাধ্যমে যোগাযোগ করে বাংলাদেশীদের জন্য নাম-সর্বস্ব কোম্পানীর থেকে ভূয়া পারমিট ইস্যু বন্ধ করেন। এতে একদল আদম ব্যবসায়ীদের প্রতরণা ব্যবসায় ভাটা পড়ে ।সাম্প্রতিক একদল দালাল তাকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দালাল চক্র ভূয়া কোম্পানির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট নিতে না পারায় তারা শ্রম উইং প্রধানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছে। তাই শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়াকে রোমানিয়া থেকে সরাতে একদল অসাধু লোক উঠেপড়ে লেগেছে।

 

এ বিষয় রোমানিয়া বুখারেস্টে বসবাসকারী আবদুল মুহিত আলমগীর জানান, শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়া রোমানিয়া শ্রম উইং প্রধানের দায়িত্বে আসার পর থেকে দালালদের প্রতারণা ও অনৈতিক কর্মকান্ডে বাঁধা সৃষ্টি হযেছে।তার উদ্যোগে আমরা প্রবাসীরা ইউরোপের নিয়ম কানুন সর্ম্পকে সচেতন হয়েছি,দূতাবাসের মাধ্যমে যে কোন সমস্যার দ্রুত সুষ্ঠ সমাধান পাচ্ছি।এতে দালালদের প্রতারণার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। দিনদিন ভূয়া কোম্পানির পারমিট ইস্যু,গেইম বানিজ্য,মানব পাচারসহ নানা অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়ার প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

এ বিষয় রোমানিয়ার পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ বুখারিস্টের বাঙালি শিক্ষার্থী মোঃ আলী নিশাদ জানান, আমরা দূতাবাসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গিয়ে বিগত দিনের চেয়ে দ্রুত সমাধান পাচ্ছি। মহাসীন স্যার একজন অত্যান্ত ভদ্র, বিনয়ী ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিতি। তিনি প্রবাসীদের যে কোন বিপদে পাশে থাকেন, সর্বোচ্চ সহযোগীতা করেন। এতে দালাল শ্রেণীর প্রবাসীদের জিম্মি করে ইনকাম বন্ধ হওয়ায় তারা স্যারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমরা পুরো রোমানিয়া বাঙালি কমিউনিটি স্যারের পাশে আছি।

 

রোমানিয়া প্রবাসী মো: সুরুজ্জামান সরকার জানান, চলতি বছরের ০১ জানুয়ারি থেকে রোমানিয়া শেনজেন অঞ্চলে অর্ন্তভূক্ত হওয়ায় মানব পাচারে সক্রিয় দালালদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বাংলাদেশের অসহায় ও রোমানিয়া গমনে ইচ্ছুক মানুষদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতে ফেইক ওর্য়াক পারমিট ব্যবহার করত। তিনি যোগদানের পর থেকেই রোমানিয়া ইমিগ্রেশনের সহায়তায় কর্মীদের কাজের ব্যবস্থা, জাল ডকুমেন্টস, ভূয়া কোম্পানির টিআরসি তৈরি বন্ধ করতে সক্ষম হন।এতে দালাল চক্রের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। তাই তারা মহাসীন স্যারকে সরাতে নানা অপপ্রচারের সক্রিয় হয়েছে।

 

জানা যায়, বিসিএস ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তা মহাসীন মিয়া ২০২৩ সনে রোমানিয়া শ্রম উইংয়ে যোগ দেন। বর্তমানে রাষ্ট্রদূত না থাকায় তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব হিসেবে যোগদানের পর থেকেই রোমানিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারন এবং শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিষ্ঠার সাথে দেখভাল করেন।২০২১ ও ২০২২ সালে রোমানিয়ায় প্রবেশ করা বিদেশীদের মধ্যে বাংলাদেশীরা প্রথম ছিল।

 

২০২৩ সালে শুরুতে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রোমানিয়া কেন্দ্রীক কয়েকটি আদম ব্যবসায়ী দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা বাংলাদেশের অসহায় ও রোমানিয়া গমনে ইচ্ছুক মানুষদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতে ফেইক পারমিট, অস্তিত্বহীন কোম্পানির নামে পারিমট, জাল ডকুমেন্টস তৈরি, ইতালি ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গেইমের নামে মানব পাচারে উৎসবে নামে। এসব অনৈতিক কাজে বাংলাদেশ শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়াকে ব্যবহার করতে অর্থ প্রলোভন দেখায়। এতে কাজ না হওয়ায় চক্রটি তাকে নানামুখী চাপ দেয়। কিন্তু দক্ষ কূটনৈতিক মহাসীন মিয়া সকল চাপ সামলে দালাল চক্রের কোন অনৈতিক আবদার না মেনে বিধি মোতাবেক কাজ চালিয়ে যান।

 

রোমানিয়া ইমিগ্রেশনের সাথে বারবার আলোচনা ও চিঠি চলাচলির মাধ্যমে বাংলাদেশীদের জন্য নাম-সর্বস্ব কোম্পানীর থেকে ভূয়া পারমিট ইস্যু বন্ধ করতে সমক্ষম হন। এতে বিপত্তি বাঁধে দালাল চক্রের। তাই শক্তিশালী দালাল চক্রটি কূটনৈতিক মহাসীন মিয়াকে রোমানিয়া শ্রম উইং থেকে অন্যত্র সরাতে নানা অপপ্রচারে নামে। কিন্তু দক্ষ কূটনৈতিক মহাসীন মিয়ার পক্ষে স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটিসহ প্রবাসীরা একাট্টা হয়।তারা বাংলাদেশী শ্রম উইংয়ের সামনে দালালদের সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করে। পরে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে স্মারকলিপি দেয় ।

 

এ বিষয় রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দুতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব মহাসীন মিয়া বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়ে আমাকে এখানে পাঠিয়েছে আমি তা পরিপূর্ণভাবে পালন করছি। একটি তথাকথিত দালাল চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। তারা সকলেই অসাধু আদম ব্যবসায়ী। আমি দেশের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করি ও অসাধু চক্রের সাথে দুরত্ব বজায় রাখি।এতে তাদের অবৈধ ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু রোমানিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী, বাঙালি কমিউনিটিসহ সকল বাংলাদেশীরা আমার কাজের প্রশংসা করেছেন। তারা ওই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সভা সমাবেশ করেছেন। প্রবাসী কর্মীরাই দালাল চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাকে সততার সাথে দায়িত্ব পালনে উৎসাহ যোগাচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

লাইসেন্স নেই তাতে কি! প্রশাসন ম্যানেজ করেই ভাটা চালাই

error: Content is protected !!

রোমানিয়ায় প্রবাসীবান্ধব শ্রম উইং প্রধান মহসীন মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও স্বারকলিপি প্রদান

আপডেট টাইম : ১২ ঘন্টা আগে
কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো প্রধান :

কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো প্রধান

রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়াকে নিয়ে তথাকথিত বাংলাদেশ কমিউনিটি গ্রুপের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সভা করেছে দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। পরে তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদাশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নিকট প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে স্বারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

গত ০৮ জানুয়ারি চার্জ দ্যা এফ্যেয়ারসের মাধ্যমে রোমানিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষে মোঃ ফিরোজ খান স্বাক্ষরিত স্বারকলিপি বাংলাদেশ সরকারে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়। এর আগে রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে।এতে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী বাংলাদেশী আবদুল মুহিত আলমগীর,মোঃ দিদারুল ইসলাম,মোঃ সুরুজ্জামান সরকার,মোঃ আলী নিশাদ প্রমুখ।এসময় বক্তরা বাংলাদেশ উইং প্রধান মহাসীন মিয়ার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রীমহল কর্তৃক প্রচারিত মিথ্যা, উদ্দেশ্যমুলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ষড়যন্ত্রকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি বিশেষ আহবান জানান।

এ বিষয় রোমানিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির সমন্বয়ক মোঃ ফিরোজ খান অভিযোগ করে জানান, রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিভাগের প্রধান মহাসীন মিয়া ২০২৩ সনে এখানে পদায়ন হবার পর থেকেই নিষ্ঠার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। রোমানিয়া ইমিগ্রেশনের সাথে বারবার আলোচনা ও চিঠি মাধ্যমে যোগাযোগ করে বাংলাদেশীদের জন্য নাম-সর্বস্ব কোম্পানীর থেকে ভূয়া পারমিট ইস্যু বন্ধ করেন। এতে একদল আদম ব্যবসায়ীদের প্রতরণা ব্যবসায় ভাটা পড়ে ।সাম্প্রতিক একদল দালাল তাকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দালাল চক্র ভূয়া কোম্পানির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট নিতে না পারায় তারা শ্রম উইং প্রধানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছে। তাই শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়াকে রোমানিয়া থেকে সরাতে একদল অসাধু লোক উঠেপড়ে লেগেছে।

 

এ বিষয় রোমানিয়া বুখারেস্টে বসবাসকারী আবদুল মুহিত আলমগীর জানান, শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়া রোমানিয়া শ্রম উইং প্রধানের দায়িত্বে আসার পর থেকে দালালদের প্রতারণা ও অনৈতিক কর্মকান্ডে বাঁধা সৃষ্টি হযেছে।তার উদ্যোগে আমরা প্রবাসীরা ইউরোপের নিয়ম কানুন সর্ম্পকে সচেতন হয়েছি,দূতাবাসের মাধ্যমে যে কোন সমস্যার দ্রুত সুষ্ঠ সমাধান পাচ্ছি।এতে দালালদের প্রতারণার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। দিনদিন ভূয়া কোম্পানির পারমিট ইস্যু,গেইম বানিজ্য,মানব পাচারসহ নানা অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়ার প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

এ বিষয় রোমানিয়ার পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ বুখারিস্টের বাঙালি শিক্ষার্থী মোঃ আলী নিশাদ জানান, আমরা দূতাবাসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গিয়ে বিগত দিনের চেয়ে দ্রুত সমাধান পাচ্ছি। মহাসীন স্যার একজন অত্যান্ত ভদ্র, বিনয়ী ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিতি। তিনি প্রবাসীদের যে কোন বিপদে পাশে থাকেন, সর্বোচ্চ সহযোগীতা করেন। এতে দালাল শ্রেণীর প্রবাসীদের জিম্মি করে ইনকাম বন্ধ হওয়ায় তারা স্যারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমরা পুরো রোমানিয়া বাঙালি কমিউনিটি স্যারের পাশে আছি।

 

রোমানিয়া প্রবাসী মো: সুরুজ্জামান সরকার জানান, চলতি বছরের ০১ জানুয়ারি থেকে রোমানিয়া শেনজেন অঞ্চলে অর্ন্তভূক্ত হওয়ায় মানব পাচারে সক্রিয় দালালদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বাংলাদেশের অসহায় ও রোমানিয়া গমনে ইচ্ছুক মানুষদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতে ফেইক ওর্য়াক পারমিট ব্যবহার করত। তিনি যোগদানের পর থেকেই রোমানিয়া ইমিগ্রেশনের সহায়তায় কর্মীদের কাজের ব্যবস্থা, জাল ডকুমেন্টস, ভূয়া কোম্পানির টিআরসি তৈরি বন্ধ করতে সক্ষম হন।এতে দালাল চক্রের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। তাই তারা মহাসীন স্যারকে সরাতে নানা অপপ্রচারের সক্রিয় হয়েছে।

 

জানা যায়, বিসিএস ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তা মহাসীন মিয়া ২০২৩ সনে রোমানিয়া শ্রম উইংয়ে যোগ দেন। বর্তমানে রাষ্ট্রদূত না থাকায় তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব হিসেবে যোগদানের পর থেকেই রোমানিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারন এবং শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিষ্ঠার সাথে দেখভাল করেন।২০২১ ও ২০২২ সালে রোমানিয়ায় প্রবেশ করা বিদেশীদের মধ্যে বাংলাদেশীরা প্রথম ছিল।

 

২০২৩ সালে শুরুতে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রোমানিয়া কেন্দ্রীক কয়েকটি আদম ব্যবসায়ী দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা বাংলাদেশের অসহায় ও রোমানিয়া গমনে ইচ্ছুক মানুষদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতে ফেইক পারমিট, অস্তিত্বহীন কোম্পানির নামে পারিমট, জাল ডকুমেন্টস তৈরি, ইতালি ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গেইমের নামে মানব পাচারে উৎসবে নামে। এসব অনৈতিক কাজে বাংলাদেশ শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়াকে ব্যবহার করতে অর্থ প্রলোভন দেখায়। এতে কাজ না হওয়ায় চক্রটি তাকে নানামুখী চাপ দেয়। কিন্তু দক্ষ কূটনৈতিক মহাসীন মিয়া সকল চাপ সামলে দালাল চক্রের কোন অনৈতিক আবদার না মেনে বিধি মোতাবেক কাজ চালিয়ে যান।

 

রোমানিয়া ইমিগ্রেশনের সাথে বারবার আলোচনা ও চিঠি চলাচলির মাধ্যমে বাংলাদেশীদের জন্য নাম-সর্বস্ব কোম্পানীর থেকে ভূয়া পারমিট ইস্যু বন্ধ করতে সমক্ষম হন। এতে বিপত্তি বাঁধে দালাল চক্রের। তাই শক্তিশালী দালাল চক্রটি কূটনৈতিক মহাসীন মিয়াকে রোমানিয়া শ্রম উইং থেকে অন্যত্র সরাতে নানা অপপ্রচারে নামে। কিন্তু দক্ষ কূটনৈতিক মহাসীন মিয়ার পক্ষে স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটিসহ প্রবাসীরা একাট্টা হয়।তারা বাংলাদেশী শ্রম উইংয়ের সামনে দালালদের সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করে। পরে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে স্মারকলিপি দেয় ।

 

এ বিষয় রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দুতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব মহাসীন মিয়া বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়ে আমাকে এখানে পাঠিয়েছে আমি তা পরিপূর্ণভাবে পালন করছি। একটি তথাকথিত দালাল চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। তারা সকলেই অসাধু আদম ব্যবসায়ী। আমি দেশের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করি ও অসাধু চক্রের সাথে দুরত্ব বজায় রাখি।এতে তাদের অবৈধ ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু রোমানিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী, বাঙালি কমিউনিটিসহ সকল বাংলাদেশীরা আমার কাজের প্রশংসা করেছেন। তারা ওই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সভা সমাবেশ করেছেন। প্রবাসী কর্মীরাই দালাল চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাকে সততার সাথে দায়িত্ব পালনে উৎসাহ যোগাচ্ছে।


প্রিন্ট