কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো প্রধান
যথাযথ মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ।শুক্রবার সংগঠনের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানের সঞ্চালনায় জেনেভায় সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই দিনটির গুরুত্ব ও একাত্তরের পরাজিত শক্তির বর্তমান ষড়যন্ত্রের উপর বক্তব্য রাখেন সিনিয়র নেতা মোঃ মহসিন, সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, মোঃ আকবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌরী চরণ সসীম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল জুনায়েদ, সমীরণ বড়ুয়া, ফুয়াদ হাসান, তপু বড়ুয়া, তারেক আল মাহমুদ প্রমুখ।
কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিনিয়র নেতা শেখ দুলু , ত্রিপিটক পাঠ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন বড়ুয়া। এ সময় বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, একাত্তরের ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং যেকোনো মূল্যে স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
একাত্তরের পরাজিত শক্তি কতৃক জঙ্গি হামলার মাধ্যমে দেশের বৈধ প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করাকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং যতদিন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সসম্মানে দেশে ফেরত আনতে না পারবেন ততদিন পর্যন্ত প্রবাস সংগ্রাম ও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে। জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি। তিনি লন্ডনের হিথরো ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ করেন। এদিন বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখো মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকেল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।
প্রিন্ট