মানিক কুমার দাসঃ
ফরিদপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার মামলার আসামি সাংবাদিক শেখ ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া জিটিভি স্টাফ রিপোর্টার চরভদ্রাসন উপজেলার প্রতিনিধি ইমরান হোসাইনের মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য পরিচয় ব্যবহার করে প্রাপ্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসী আহত সাংবাদিক সম্মাননা পুরস্কার প্রত্যাহার ও বিচারের দাবিতে সাংবাদিকবৃন্দের মানববন্ধন ও পরে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি
প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল , ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য মফিজ ইমাম মিলন, পান্না বালা, হারুন আনসারি, এস এম মনিরুজ্জামান, শ্রাবণ হাসান, বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি ও দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার (লিটু), মধুখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান মুন্নু, সালথা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ , জুলাই যোদ্ধা আবরার নাদিম ইতু , কাজি রিয়াজ, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ হাসানুজ্জামান। এ সময় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, শেখ ফয়েজ আহমেদের মত একজন ভুয়া সাংবাদিক তাকে এই ধরনের পদক প্রদান করে সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থা একটা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে। এতে প্রকৃত সাংবাদিকদের অসম্মান করা হয়েছে। জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার যে সমস্ত সাংবাদিকবৃন্দ সরাসরি ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সমর্থন করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা করেছিল; তাদেরকে বাদ দিয়ে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কে এই ধরনের পুরস্কার দেবার কি যুক্তি থাকতে পারে?
বক্তারা বলেন তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছেন । ছাত্র জনতার পক্ষে একটা কথাও লেখেনি। এই আন্দোলনের বিপক্ষে ফেসবুকে তিনি একের পর এক পোস্ট করেছেন ।
তিনি একজন চিহ্নিত প্রতারক। তার নামে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এজন্য তাকে জেলে যেতে হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার উপর হামলাকারী এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।
তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার একজন আসামী। এখানে প্রকৃত সাংবাদিকদের অবমূল্যায়ন করে তাকে যে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে, তার নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে উক্ত পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য তাকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে তারা ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ।
প্রিন্ট