শামসুর রহমানঃ
মাগুরা র শালিখায় শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেন,উপজেলা আড়পাড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটি।ভাদ্র মাসের রোদের উত্তাপ উপেক্ষা করে এসময় রাস্তার দুধারে অসংখ্য মানুষ তা উপভোগ করেন।সনাতন নারীরা উলুধ্বনি দিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কে স্বাগত জানায়।
শঙ্খ ধ্বনি,ঢাকঢোলের বাদ্য বাজনা নিয়ে উৎসব মুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন সনাতন ধর্ম অবলম্বীরা।শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের সরব অংশ গ্রহণ দেখে মনে হয়েছে, যেন কৃষ্ণ প্রেমের এক অদৃশ্য টানে ছুটে চলেছেন তারা শেকড়ের সন্ধানে।
রবিবার (১৭ আগষ্ট) বিকাল ৩ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে পরিণত হয় মিলনমেলায়। বিভিন্ন সাজে সজ্জিত কৃষ্ণ ভক্তরা নেচে গেয়ে বাদ্য বাজনা বাজিয়ে উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দিরের ভক্তবৃন্দের পক্ষ থেকে যুবনেতা অরুপ সাহা জানান,শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করেন।ও এই দিন ভক্তরা শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভের আশায় ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে মন্দির ও বাসাবাড়িতে নানান রকম ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করেন।ও দেবকীর বিয়ের পর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রাবণ একটি দৈববাণীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তানের হাতে তার মৃত্যু হবে।এই কথা শুনে তিনি দেবকী ও বসুদেবকে কারারুদ্ধ করেন এবং তাদের প্রথম ছয় পুত্রকে হত্যা করেন। দেবকী তার সপ্তম গর্ভ রোহিণীকে প্রদান করলে, বলরামের জন্ম হয়।
কিন্তু জন্ম কালীন সময় জগতের বিশ্বময় আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন ও বিদ্যুৎ চমকায়,বৃষ্টির প্লাবন পৃথিবীর বুকে যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে এরই মাঝে কৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন, মানবজাতির জন্য যেন একটা অলৌকিক বার্তা পৃথিবীর বুকে এসেছে। তিনি বলেন হিন্দু পুরাণ অনুসারে, আনুমান আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার ২ শ বছর পূর্বে, দাপর যুগে যখন রাজা কংসের অত্যাচারে চারিদিকে অরাজকতা, নৃসংশতা, নিপীড়নে মানুষ জর্জরিত,সে সময়ে বাসুদেব ও দেবকীর ঘরে ভূমিষ্ট হন শ্রীকৃষ্ণ সেই থেকে প্রতিবছর এই তিথিতে কৃষ্ণ জন্মোৎসব পালিত হয়,এটি কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী নামে পরিচিত।
প্রিন্ট