ঢাকা , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মধুখালীতে দোয়া মাহফিল ও গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে মতবিনিময় Logo বাঘায় মুক্তিযোদ্ধার সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী চাঁদের মতবিনিময় Logo শিবগঞ্জে চোখ উপড়ে পাহারাদারকে হত্যা Logo মধুখালীতে সাংবাদিক সাগর চক্রবর্তীর মোটরসাইকেল চুরি Logo বালিয়াকান্দিতে মোবাইলকোট পরিচালনায় দুই ট্রলি চালককে জরিমানা  Logo বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য পালশা ডে নাইট শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo তানোর বিএনপির রাজনীতিতে জাহাঙ্গীরকে দায়িত্বশীল পদে দেখতে চায় তৃণমুল Logo কালুখালীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo তানোরে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু Logo হিলিতে বিদুৎ স্পৃষ্টে নিহত-১আহত হয়েছে ৬ জন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

জাতীয় ৪ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের পরাজয়ের গ্লানি মিটিয়েছে!

জাতীয় ৪ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের পরাজয়ের গ্লানি মিটিয়েছে!

 

বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর একটি দিন। রাষ্ট্রের হেফাজতে জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি ‘জেল হত্যা দিবস।
বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কিত দিন এইটি,বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার মহান নেতাদের, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পরিচালক ও সংগঠক মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে।এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

 

১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে আওয়ামী লীগের জাতীয় চার নেতা সহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীরা জেলে বন্দি ছিল।
সামরিক বাহিনীর বিপথগামী জুনিয়ার অফিসার যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত তাঁদের সাথে মেজর জিয়ার সরাসরি যোগসাজশ ছিল বলে তথ্যে প্রকাশ।

 

১৯৭৫ সালে নভেম্বরের প্রথমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের পাল্টা অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হন।মেজর জিয়ার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা তখন অনুধাবন করতে পেরে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের পাল্টা অভ্যুত্থান যদি সফল হয়,তাহলে আওয়ামী লীগ তাঁকে সমর্থন দিবে।

 

কিন্তু প্রশ্ন এসে যায় ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানের পরে দেশের নেতৃত্ব কে দিবে।তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা সস্পুর্ণভাবে নির্মূল করার জন্য ১৯৭৫ সালে ১৫আগষ্টের পথ ধরে তখনকার প্রেসিডেন্ট খুনি মোশতাকের অনুমতিক্রমে এবং বঙ্গভবন থেকে মেজর রশিদের নির্দেশে,১৯৭৫ সালে জাতীয় ৪ নেতাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ,অন্ধকার রাতে কাপুরুষের মতো গুলি করে হত্যা করে।সবার মৃত্যু নিশ্চিত হতে কেন্দ্রীয় জেলে দ্বিতীয়বার আবার জেলের ভিতরে প্রবেশ করে তাঁরা এবং জাতীয় চার নেতাদের মৃত্যুদেহে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।খুনিদের জানা ছিল,জাতীয় ৪ নেতারা জীবিত থাকাকালীন খুনিদের পাকিস্তানী কায়দায় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভাব হবে না।এমন কি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের সফলতা পাবে না।

 

খুন ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ছিলেন মেজর জিয়া।রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার পরে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে মানুষের আই ওয়াস করার জন্য হ্যাঁ/না ভোটের ব্যবস্হা করেন তিনি,এই ভোটের মাধ্যমেই বাংলাদেশে প্রথম ভোট ডাকাতির সূচনা হয়।শুধু তাই না মেজর জিয়া পাকিস্হানী কায়দায় বাংলাদেশে ইসলামী গনতন্ত্রের শাসন শুরু করে।

 

স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতি-কে ঘোলাটে ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতা বিরোধী জামাতকে বাংলার মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টিকারী মেজর জিয়া ও তাঁর দল বিএনপি।

 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের হত্যা মিশন থেকে ঘাতকদের বুলেট থেকে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৮১ সালে বাংলার মাটির টানে, বাংলাদেশের গনতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধার,সহ বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত,মেহনতি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেবার প্রত্যায় নিয়ে, অন্ধকার থেকে অলোর পথে বাংলার মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন ।

 

পরে দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের রায়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে জেল হত্যা মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে।
জাতীয় চার নেতাদের মৃত্যু নেই। কর্মই তাদেরকে ইতিহাসে অমরত্ব দিয়ে বাঁচিয়ে রাখবে।যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামের পাশে জাতীয় চার নেতার নাম ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

আজকে জেল হত্যা দিবসে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় চার নেতার প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

 

মাহবুবুর রহমান
সাধারন সস্পাদক, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় পাশাপাশি খোঁড়া হয় তিনটি কবর, দাফনসম্পন্ন

error: Content is protected !!

জাতীয় ৪ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের পরাজয়ের গ্লানি মিটিয়েছে!

আপডেট টাইম : ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩
কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো প্রধান :

জাতীয় ৪ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের পরাজয়ের গ্লানি মিটিয়েছে!

 

বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর একটি দিন। রাষ্ট্রের হেফাজতে জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি ‘জেল হত্যা দিবস।
বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কিত দিন এইটি,বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার মহান নেতাদের, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পরিচালক ও সংগঠক মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে।এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

 

১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে আওয়ামী লীগের জাতীয় চার নেতা সহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীরা জেলে বন্দি ছিল।
সামরিক বাহিনীর বিপথগামী জুনিয়ার অফিসার যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত তাঁদের সাথে মেজর জিয়ার সরাসরি যোগসাজশ ছিল বলে তথ্যে প্রকাশ।

 

১৯৭৫ সালে নভেম্বরের প্রথমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের পাল্টা অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হন।মেজর জিয়ার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা তখন অনুধাবন করতে পেরে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের পাল্টা অভ্যুত্থান যদি সফল হয়,তাহলে আওয়ামী লীগ তাঁকে সমর্থন দিবে।

 

কিন্তু প্রশ্ন এসে যায় ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানের পরে দেশের নেতৃত্ব কে দিবে।তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা সস্পুর্ণভাবে নির্মূল করার জন্য ১৯৭৫ সালে ১৫আগষ্টের পথ ধরে তখনকার প্রেসিডেন্ট খুনি মোশতাকের অনুমতিক্রমে এবং বঙ্গভবন থেকে মেজর রশিদের নির্দেশে,১৯৭৫ সালে জাতীয় ৪ নেতাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ,অন্ধকার রাতে কাপুরুষের মতো গুলি করে হত্যা করে।সবার মৃত্যু নিশ্চিত হতে কেন্দ্রীয় জেলে দ্বিতীয়বার আবার জেলের ভিতরে প্রবেশ করে তাঁরা এবং জাতীয় চার নেতাদের মৃত্যুদেহে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।খুনিদের জানা ছিল,জাতীয় ৪ নেতারা জীবিত থাকাকালীন খুনিদের পাকিস্তানী কায়দায় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভাব হবে না।এমন কি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের সফলতা পাবে না।

 

খুন ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ছিলেন মেজর জিয়া।রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার পরে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে মানুষের আই ওয়াস করার জন্য হ্যাঁ/না ভোটের ব্যবস্হা করেন তিনি,এই ভোটের মাধ্যমেই বাংলাদেশে প্রথম ভোট ডাকাতির সূচনা হয়।শুধু তাই না মেজর জিয়া পাকিস্হানী কায়দায় বাংলাদেশে ইসলামী গনতন্ত্রের শাসন শুরু করে।

 

স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতি-কে ঘোলাটে ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতা বিরোধী জামাতকে বাংলার মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টিকারী মেজর জিয়া ও তাঁর দল বিএনপি।

 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের হত্যা মিশন থেকে ঘাতকদের বুলেট থেকে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৮১ সালে বাংলার মাটির টানে, বাংলাদেশের গনতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধার,সহ বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত,মেহনতি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেবার প্রত্যায় নিয়ে, অন্ধকার থেকে অলোর পথে বাংলার মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন ।

 

পরে দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের রায়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে জেল হত্যা মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে।
জাতীয় চার নেতাদের মৃত্যু নেই। কর্মই তাদেরকে ইতিহাসে অমরত্ব দিয়ে বাঁচিয়ে রাখবে।যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামের পাশে জাতীয় চার নেতার নাম ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

আজকে জেল হত্যা দিবসে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় চার নেতার প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

 

মাহবুবুর রহমান
সাধারন সস্পাদক, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ।

 


প্রিন্ট