মনোয়ার ইমামঃ
গতকাল বৈকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল শ্রী মিতুন কুমার দে তার বিদায় সম্বর্ধনা প্রদান করা হয় ডায়মন্ড হারবার নিউ টাউন এর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভবনে। সেখানে তিনি তার দীর্ঘদিনের কাজ ও বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে তার দীর্ঘদিনের কাজের সুবাদে বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।
জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবধরনের সহযোগিতা করছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিরোধে সাহায্য করতে সবধরনের সহযোগিতা করছেন। এবং রাজনৈতিক দলের ঝামেলা ও দন্দ থেকে এলাকা মুক্ত করতে আমি যথারীতি সহযোগিতা করেছি। হয়তোবা কিছু কাজ করতে পারিনি। তার ব্যাখ্যা তিনি তুলে ধরেননি। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি তে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন অনেক অনেক সাহায্য ও সহযোগিতা পেয়েছি কিছু আপন জনের কাছ থেকে ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষী পুলিশ আধিকারিকদের কাছ থেকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমি বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে। কিছু মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা তার উপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি তার কাজ করে এগিয়ে এসেছেন। বস্তুত বিষয় হলো তার সকল বাধা কে অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ কে।
তবে তার এই কথার উত্তর দিতে চান না বর্তমান সরকারের তৃনমূল দলের কিছু নেতা ও বিধায়ক। তাদের কথায় মিতুন কুমার দে সময় থেকে তৃনমূল কংগ্রেস এর দুই টো গুরুপ কে ভাগ করতে সাহায্য করছেন। এবং তার সময় গত পঞ্চায়েতের ভোটের সময় দলের হাইকমান্ড কে ভুল তথ্য দিয়ে দলের দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে টিকিট ভাগাভাগি করতে সাহায্য করছেন। সেই সঙ্গে ভোটের পর টাকার বিনিময়ে প্রধান ও উপ প্রধান এবং কে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ও কর্মধক্ষ্য হবে তা ঠিক করেছেন।
দলের এক অঙ্গ এর আঙ্গুল হেলনে কাজ করে গেছেন। তিনি এক পক্ষ সাহায্য করে অন্যপক্ষের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বর্তমান কিছু বিধায়ক ও জননেতা এবং তৃনমূল কংগ্রেস এর উপর সারির নেতা ও কর্মীদের কাছে বিরূপ ব্যাক্তি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে তার বিরুদ্ধে অনেক অনেক অভিযোগ করেছেন, যেমন সরকারি জমি দখল করে তার উপর বেআইনি নির্মাণ করতে সাহায্য করেছেন অর্থ এর বিনিময়ে এবং রাস্তা ঘাট তৈরি করতে পঞ্চায়েতের কে টেন্ডার পাবেন তা সুনিশ্চিত করতে সাহায্য করেছেন কিছু দলীয় নেতা ও তোলাবাজ কর্মীদের।
তার আমলে ভালো কাজ কে সামনে দেখিয়ে ও রেখে সমানে তোলাবাজি করতে সাহায্য করছেন এমন অভিযোগ ভুরি ভুরি তুলে ধরা হয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস এর সভাপতি ও সুপ্রিম লিডার ও পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সেই সঙ্গে কিছু থানায় তার নিকটতম ওসি ও অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাকি সালিশি সভা ও বিচারের নামে টাকা পয়সা তুলতে সাহায্য করা এবং মাটির গাড়ি নামিয়ে বেআইনি জমি দখল করে এবং জমি থেকে গাড়ি গাড়ি মাঠি এবং তুলে দেওয়া টাকা পয়সার বিনিময়ে।
এ ছাড়া বহু অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রী মিথুন কুমার দে বিরুদ্ধে তার বিরোধী পক্ষের তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা। এবং কিছু দিন আগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার এক তৃনমূল কংগ্রেস এর নেতা র দাপটে তা সরতে হয়েছে বলে জানা গেছে গোপন সূত্রে। তবে তার বিরুদ্ধে যাই অভিযোগ থাকনা কেন তার বিচার জনগণ দেবেন। জনগণের শক্তি ক্ষমতার উৎসর্গ।
প্রিন্ট

মধুখালীতে দোয়া মাহফিল ও গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে মতবিনিময় 
মনোয়ার ইমাম, পশ্চিম বঙ্গ (কোলকাতা) প্রতিনিধি 





















