আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর বিএনপির আদর্শিক,নিবেদিতপ্রাণ ও পরিক্ষিত নেতা নওশাদ আলীকে নিয়ে বানোয়াট এবং মানহানিকর অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে।এনিয়ে বিএনপির আদর্শিক নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
জানা গেছে,বিগত ২০১৩ সালের সেই কঠিন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তখন অন্ধকার পথ পাড়ি দিয়ে সামনের সারির নেতাকর্মীদের এগিয়ে যাওয়াই ছিল প্রধান দায়িত্ব। সেই সময় প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের নেতৃত্বে পরিক্ষিত নেতা নওশাদ আলী সিএনবি মোড় থেকে গোদাগাড়ী পর্যন্ত একাধিকবার তার লাল গাড়ি নিয়ে রাউন্ড দিয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ঝুঁকি আছে এটা জেনেও ভয়কে উপেক্ষা করেই দায়িত্ববোধ থেকে তিনি নেতৃত্ব দেন।
ফলে পরবর্তী সময়ে তৎকালীন শাসক গোষ্ঠীর নানা হয়রানি, মিথ্যা মামলা অপদস্ত সবকিছুই সহ্য করতে হয়েছে নওশাদ আলীকে। ত্যাগীরা কখনো পিছিয়ে যায় না, তারা পথ দেখায়।দলের জন্য দীর্ঘদিন পরিশ্রম করতে করতে মানুষের মধ্যে দলের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা আর গভীর ভালোবাসা জন্মায়। কারণ দল শুধু একটি নাম নয় এটি মানুষের স্বপ্ন, বিশ্বাস আর সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি।
এদিকে যারা আন্দোলন-সংগ্রামের দিনের কষ্ট দেখেনি, যারা দায়িত্বের ভার অনুভব করেনি,সব সময় ছিলো সুবিধাবাদীদের দলে।এসব চেনা মুখের সুবিধাবাদী মতলববাজরা প্রায়শই দলকে ছোট করে দেখার চেষ্টা করে। ইতিহাসের ব্যথা যাদের নেই, তারা কখনো দলের মর্যাদা বোঝে না। দলের আদর্শিক ও প্রকৃত নেতাকর্মীরাই জানেন ত্যাগই শক্তি, নিষ্ঠাই পরিচয়, আর দলই পরিবার।স্থানীয়রা জানান,রাজশাহী-১ আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত কতিপয় বিপদগামী নেতার অনুসারীরা নওশাদ আলীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে।
এদিকে এ ঘটনায় বিএনপির তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা নওশাদ আলীর বিরুদ্ধে এসব ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও মানহানিকর অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপপ্রচারকারি এবং তাদের মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। তাদের দাবি নির্বাচনে বিএনপির ভোট নস্ট ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ক্ষুন্ন করতে এই দুষ্টুচক্র তাদের জড়িয়ে এসব অপপ্রচার শুরু করেছে। বিএনপির প্রতিপক্ষ একটি রাজনৈতিক দলের বি-টিম হয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে তারা নওশাদ আলীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে “মাদকের গডফাদার” হিসেবে পরিচিত নওশাদ আলীকে সঙ্গে নিয়ে শরিফ উদ্দিনের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে নওশাদ আলী পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতাকর্মীসহ জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড় বইছে মুখরোচক নানা গুঞ্জন।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত,বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী বা যুদ্ধাপরাধী ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করা হয়েছে। বিএনপি নেতা নওশাদ আলীও সেই ষড়যন্ত্রের শিকার। আওয়ামী লীগ নানা প্রলোভন দিয়েও তাকে দলে ভেড়াতে ব্যর্থ হয়ে মাদক ব্যবসার ট্যাগ লাগিয়েছে,যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নাই।এমনি কি যে বিপদগামী নেতা এসব করাচ্ছে সে নিজেই মাদকের গডফাদার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর বলে এলাকায় ব্যাপক প্রচার রয়েছে।
এমনকি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার মতো তার অসঙ্গত ও প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডে দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
প্রিন্ট

মধুখালীতে দোয়া মাহফিল ও গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে মতবিনিময় 
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি 




















