সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লাকে স্যার না বলে আপা বলায় ইউএনও এর নির্দেশে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বাজার বাস স্ট্যান্ডে এমনটি ঘটে। আহত ব্যবসায়ী জয়মন্টপ এলাকার গৌর চন্দ্র দাসের ছেলে তপন দাস।
তপন দাস বলেন, পেশায় তিনি একজন স্বর্ণকার। জায়গীর বাজারে তার দোকান রয়েছে। খরিদ্দারের চাপের মুখে পড়ে ওই সময় দোকান খোলার অপরাধে ইউএনও তাকেসহ খরিদ্দারদের জরিমানা করেন।
এ সময় তিনি স্যার না বলে ক্ষমা চেয়ে আপা বলায় ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। কেন আপা বললি (!) বলেই পুলিশ লাঠি দিয়ে তার শরীরে আঘাত করতে থাকে।
জরিমানা এবং মারধরের কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা বলেন, অনেকেই আমাকে আপা এবং খালাম্মাতো বলেই। এর জন্য মারধর করা হয়নি। লকডাউন না মেনে দোকান খোলা রাখার অপরাধে তাকে মারধর করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রফিক বলেন, ইউএনও লাঠি দিয়ে বাড়ি দিতে বলেছেন বলেই আমি তার নির্দেশ পালন করছি মাত্র। এতে আমার কোনো দোষ নেই।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্যার না বলে আপা বললেই তাকে মারতে হবে কেন? তবে মারার ঘটনা সত্য।
প্রিন্ট