ঢাকা , শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি লাশের হত্যার রহস্য উদঘাটন

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ, রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের সম্মানিয়া ব্রীজের কাছে পাওয়া বস্তাবন্দি অজ্ঞাত লাশের পরিচয় ও হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ বিষয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার রহস্য জানা যায়।

 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার পাঁকান্দি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী শান্তা বেগম (৩৭) ও একই গ্রামের তাহের আলীর ছেলে মোঃ মোস্তফা (৩৮)।

 

পুলিশ সূত্রে জানান যায়, গত ২১ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) সাড়ে ৮টার দিকে মনোহরদীর শুকুন্দী ইউনিয়নের সম্মানিয়া ব্রীজের কাছে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় কৃষকরা। পরে স্থানীয়রা নিকটস্থ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। এসময় উপস্থিত লোকজন লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে না পারায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে খবর দিলে তারা লাশের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে জানতে পারে যে নিহত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের ডনডনিয়া গ্রামের মোঃ নজরুলের ছেলে শাহিন আলম (২৯)।

 

পরে সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর সার্কেল) এর সমন্বয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য মাঠে নামেন। তথ্য ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, নিহত শাহিন আলম শিবপুরে ফুচকা-চটপটির ব্যবসার করার সুবাদে শান্তা বেগমের সাথে পরিচয় হয়। পরে দুজনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

 

দীর্ঘদিন ধরে চলে তাদের এ সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ছিন্ন করতেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারী (সোমবার) রাত সাড়ে ১০টায় শান্তা বেগমের পাঁচকান্দি বাড়িতে ডেকে নিয়ে শাহিন আলমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সবার চোখ আড়াল করতেই লাশ বস্তায় ভরে প্রতিবেশী মোস্তফার সহযোগিতায় প্রাইভেটকার যোগে লাশ পাশ্ববর্তী মনোহরদী থানায় সম্মানিয়ায় ফেলে আসেন। পুলিশ আরও জানান, তাদের দেখানো মতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ২টি গামছা, প্লাস্টিকের বস্তা, মুখের মাস্ক, মাথার টুপি, স্যান্ডেল ১জোড়া এবং লাশ বহনকারী ১টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশী প্রহরায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।

 

উল্লেখ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী শুকুন্দি ইউনিয়নের সম্মানিয়া ব্রীজের নিচে থেকে অজ্ঞাত একব্যক্তির বস্তাবন্দি ল লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ মরদেহ উদ্ধার করে। ওইসময় লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সরকারি গাছ কাটা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন

error: Content is protected !!

উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি লাশের হত্যার রহস্য উদঘাটন

আপডেট টাইম : ৩ ঘন্টা আগে
সাদ্দাম উদ্দিন রাজ, রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি :

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ, রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের সম্মানিয়া ব্রীজের কাছে পাওয়া বস্তাবন্দি অজ্ঞাত লাশের পরিচয় ও হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ বিষয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার রহস্য জানা যায়।

 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার পাঁকান্দি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী শান্তা বেগম (৩৭) ও একই গ্রামের তাহের আলীর ছেলে মোঃ মোস্তফা (৩৮)।

 

পুলিশ সূত্রে জানান যায়, গত ২১ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) সাড়ে ৮টার দিকে মনোহরদীর শুকুন্দী ইউনিয়নের সম্মানিয়া ব্রীজের কাছে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় কৃষকরা। পরে স্থানীয়রা নিকটস্থ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। এসময় উপস্থিত লোকজন লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে না পারায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে খবর দিলে তারা লাশের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে জানতে পারে যে নিহত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের ডনডনিয়া গ্রামের মোঃ নজরুলের ছেলে শাহিন আলম (২৯)।

 

পরে সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর সার্কেল) এর সমন্বয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য মাঠে নামেন। তথ্য ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, নিহত শাহিন আলম শিবপুরে ফুচকা-চটপটির ব্যবসার করার সুবাদে শান্তা বেগমের সাথে পরিচয় হয়। পরে দুজনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

 

দীর্ঘদিন ধরে চলে তাদের এ সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ছিন্ন করতেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারী (সোমবার) রাত সাড়ে ১০টায় শান্তা বেগমের পাঁচকান্দি বাড়িতে ডেকে নিয়ে শাহিন আলমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সবার চোখ আড়াল করতেই লাশ বস্তায় ভরে প্রতিবেশী মোস্তফার সহযোগিতায় প্রাইভেটকার যোগে লাশ পাশ্ববর্তী মনোহরদী থানায় সম্মানিয়ায় ফেলে আসেন। পুলিশ আরও জানান, তাদের দেখানো মতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ২টি গামছা, প্লাস্টিকের বস্তা, মুখের মাস্ক, মাথার টুপি, স্যান্ডেল ১জোড়া এবং লাশ বহনকারী ১টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশী প্রহরায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।

 

উল্লেখ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী শুকুন্দি ইউনিয়নের সম্মানিয়া ব্রীজের নিচে থেকে অজ্ঞাত একব্যক্তির বস্তাবন্দি ল লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ মরদেহ উদ্ধার করে। ওইসময় লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।


প্রিন্ট