মানিক কুমার দাস, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
ফরিদপুরে সরকারি সারদা সুন্দরী কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে দুইটি মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ, বৃহস্পতিবার সকালে, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের উদ্যোগে কলেজের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০:৩০ মিনিটে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক জীবিতেশ চন্দ্র বিশ্বাস, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক খন্দকার বাবূল তালুকদার, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ফারজানা নাসরিন, ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক শেখ জামাল, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম, সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, “অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম একজন সজ্জন ব্যক্তি। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে, তা অবিলম্বে খুঁজে বের করে সন্ত্রাসীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।” তারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানান এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এদিন দুপুর ১২টায়, ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ব্যানারে আরও একটি মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, “অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম একজন সজ্জন ব্যক্তি। যেসব সন্ত্রাসী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে, তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” এ সময় বক্তারা ফরিদপুরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের হুমকি দেন, যদি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রাজেন্দ্র কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ওবায়দুর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শহিদুল ইসলাম লিটু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নীরব ইমতিয়াজ শান্ত সহ অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা আরও বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং ইন্ধনকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।”
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী রবিবার থেকে ফরিদপুরের সব কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়া, আগামী রবিবার জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে এবং রাজেন্দ্র কলেজ ও প্রেসক্লাবে আরও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল রাতে আনুমানিক ৭:৩০ টায়, অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম মসজিদে যাওয়ার পথে দুজন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল থেকে রড দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।
প্রিন্ট