ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর (৫১) ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। সোমবার রাত ৮টার দিকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান।
এর আগে সন্ধ্যায় শহরের গোয়ালচামটস্থ মডেল মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন- শহরের রঘুনন্দনপুরের সাত্তার শেখে ছেলে মো. রিপন শেখ ও রথখোলা এলাকার রাশেদ হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার। এরমধ্যে রিপন শেখ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও জেলা মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম মো. নাছিরের সহযোগী বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কামরুল ইাসলাম সিদ্দিকী মডেল মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হয়ে মসজিদের গেইটে পৌঁছানো মাত্র ৪ থেকে ৫ জন হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় এক হামলাকারী মাফলার দিয়ে কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর গলা পেঁচিয়ে ফেলে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে রেজাউল করিম সজল নামে এক ব্যক্তি ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাকে ধারালো অস্ত্র রামদা দিয়ে আঘাত করলে তিনি আহত হন। এরপরই হামলাকারীরা মরিচের গুঁড়া ছিটিয়েপালিয়ে যাওয়ার সময় রিপন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
আহত রেজাউল করিম সজল জানান, হঠাৎ করেই দেখি ওনাকে (কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী) মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে ফেলেছে। তখন আমি ঠেকানোর চেষ্টা করলে হামলাকারীরা মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। এরপরই রামদা দিয়ে কোপ দিতে গেলে আমি ধরে ফেলি। তখন আমার হাতের কনুইয়ের অংশ কেটে যায়।
এ ব্যাপারে কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে ৪ জনকে চিনতে পেরেছি। রাজনৈতিক কারণে আমার ওপর এই হামলা হয়েছে। আমি সভাপতি হওয়ার পরপর থেকে আমি বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে আসছি। এতে ওরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আজ এ ঘটনা ঘটায়। পূর্বেও চক্রটি আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে একজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাতেই মামলা হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রিন্ট