রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী সচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: রেজওয়ান উল ইসলাম (সদর দপ্তর, ঢাকা) এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত উপজেলার ৫টি ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় ধানাইদহপাড়া গ্রামে এ.এস.বি. ইট ভাটাকে ৩ লাখ টাকা, সাদীপুরে এস.আর.বি ও আরামবাড়িয়ায় এ.এম.ডি ইট ভাটাকে ৫ লাখ টাকা করে, রামকৃষ্ণপুরে ভি.এস.এল ইট ভাটাকে ৩ লাখ টাকা ও পদ্মার চরে সেরা ব্রিকস ইট ভাটাকে ২ লাখ টাকা সহ মোট ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ভাটাগুলোর কিছু অংশ করে ভেঙে ফেলা হয়।
এ সময় নাটোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম ও লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে দুয়ারিয়া ইউনিয়নের কুজিপুকুরে বিএসবি ইট ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ভাটার ম্যানেজার ও ভাটা মালিক যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান বাচ্চু পালিয়ে গেলে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ইট ভাটাটিতে পানি ছিটিয়ে ইট পোড়ানো বন্ধ করা হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও মেহেদি হাসান জানান, “বুধবার বিকালে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দুয়ারিয়া ইউনিয়নের বিএসবি ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ভাটার মালিক ও ম্যানেজার পালিয়ে যায়। এ সময় অবৈধভাবে লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা পরিচালনা, জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার ও মাটি কাটার অপরাধে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পানি ছিটিয়ে ইট পোড়ানো বন্ধ করা হয়। এবং বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রেজওয়ান উল ইসলাম এর নেতৃত্বে উপজেলায় পাঁচটি ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রেজওয়ান উল ইসলাম বলেন, “পাঁচটি ইট ভাটায় মোট ১৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লালপুর উপজেলায় অনেকগুলো ইট ভাটা রয়েছে। অধিকাংশ ভাটার বৈধ কাগজপত্র নাই, জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো ও অনুমোদনহীন চিমনি ব্যবহার করা হয়। তালিকা দেখে আমরা পর্যায়ক্রমে এসব ভাটায় অভিযান চালাবো। আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।”
প্রিন্ট