আতিয়ার রহমান, পাংশা থেকে ফিরে
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাঈমুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মিত অফিস করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গত ১লা জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার অফিসে গিয়ে সাক্ষাৎ মেলেনি। উপজেলা পরিষদের পুকুর পাড়ে অফিস ভবনের নিচতলার বারান্দার ফ্লোরে একাধিক বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য কিছু কাগজপত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জানা যায়, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাঈমুর রহমানের গাফিলতিতে দপ্তরের আওতাধীন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের উপর প্রভাব পড়ছে।
দীর্ঘ কয়েক বছরেও নির্ধারিত সময়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাংশা উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমার জানামতে পাংশা উপজেলা পরিষদের পুকুর পাড়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি দোতলা ভবন আছে। উক্ত ভবনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার আসা-যাওয়া চোখে পড়েনি।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে উপ-সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী মোঃ নাঈমুর রহমান এই প্রতিনিধিকে বলেন, অফিসে জনবল সংকট আছে। আমি একাই অফিস করি। জরুরী কোন ফাইলের কাজ থাকলে অফিসে গিয়ে করা হয়। অন্যথায় সাইডে বসেই দপ্তরের প্রয়োজনীয় কাজ করা হয়। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।
উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আফজাল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিনিধিকে বলেন, তার অনিয়মিত অফিস করার বিষয়টি আমার জানা নেই। এমনটি হলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট