ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বাবুল মীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসক জেলা- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও দূর্ণীতি দমন কমিশনসহ – সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে অভিযোগ করেছেন, দয়ারাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আনারুল ইসলাম অত্র প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য মহব্বত আলী মোল্যা অভিভাবক সদস্য ওসমান মোল্যা ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও সাধারন মানুষ।
স্থানীয় এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃত অকৃতকার্য দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। অকৃতকার্য দেখিয়ে প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ফর্ম ফিলাপ বাবদ ৫ – ৬ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে, এবং শিক্ষক কর্মচারীসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর মোট সাতজনকে নিয়োগ দিয়ে অর্ধ কোটি টাকা নিয়োগ বানিজ্য করেছে, এই প্রধান শিক্ষক বাবুল মীর। নিজের ইচ্ছায় স্কুল ফান্ডের টাকা তুলে নেন এবং প্রধান শিক্ষকের অবহেলায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান খুব খারাপ অবস্থায় রেখেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সপ্তম শ্রেণির শ্রেণি কক্ষে হোয়াইট বোর্ড ভাঙ্গা অফিসকক্ষের বইগুলো এলোপাতাড়ি ছাড়ানো ছিটানো। এসময় আসাদ নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, এই প্রধান শিক্ষক আমার কাছ থেকে গতবছর ফরম ফিলাপের জন্য ১০ হাজার টাকা গোপনে নিয়েছে, আমার ছেলে এখান থেকে এসএসসি পাস করেছে, তার নাম শওন, এসময় সাবেক অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আকরাম হোসেন খাঁন বলেন, আমাদের গ্রামের ময়- মুরব্বিদের সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠান আগে খুব ভালোভাবে চলছিল কিন্তু বর্তমানে এই প্রধান শিক্ষক বাবুল মীরে অবহেলায় প্রতিষ্ঠানটি অবনতির দিকে চলে যাচ্ছে, আমরা এই প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দয়ারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল মীর বলেন, আমার নামে অভিযোগ দিয়েছে শুনেছি তবে আমার কাছে মনে হয় এটা তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মাত্র আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন তারা স্কুল তালা দিয়েছিল আমি প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েছিলাম এবং পুলিশ এসে এদেরকে লাঠিপেটা করছিল তারপর থেকে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এগুলো করছে।
এবিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রাসেল অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রিন্ট