আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় এ বছর পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকরা প্রতি বিঘায় লোকসান গুনছেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার কারণে এই লোকসান হচ্ছে বলে দাবি করেছেন উপজেলার শতাধিক কৃষক। বৃহস্পতিবার(২ জানুয়ারী) বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার-সহ তাঁর মাধ্যমে ছয়টি দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
বাঘার লিড ফার্মার(কৃষক) শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারক লিপিতে বলা হয়েছে, এ বছর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চল সহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন এবং দুটি পৌর এলাকায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাঁটা পেঁয়াজ চাষাবাদ করা হয়েছে। যার উৎপাদন খরচ পড়েছে বিঘা প্রতি ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা । শুরুর দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা দাড়িয়েছে ৪০ থেকে ৬০ মণ। যার বর্তমান বাজার মুল্য ৫৫ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে।
বাঘার চরাঞ্চলের পেঁয়াজ চাষী আসাদুজ্জামান বলেন আমি গত বছর পেঁয়াজের বাজার মুল্য ভালো হওয়ায় এ বছর ৭০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। কিন্তু বর্তমানে তত্ত্ববধায়ক সরকার বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার কারনে দেশি পেঁয়াজের মুল্য কমে গেছে। এর ফলে আমরা প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লোকসান গুনছি।
এদিকে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আসা কৃষক ফজলুল হক ,সাইফুল ইসলাম, সাবাদুল হোসেন, রেজাউল করিম ও বজলুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা গত বছর পেঁয়াজের বাজার মুল্য ভালো পাওয়ার কারণে এবার ১০ বিঘার নিচে কেউ পেঁয়াজ চাষ করেননি। অথচ বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার কারণে সকল কৃষক আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এ কারণে তারা অবিলম্বে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেশী পেঁয়াজের বাজার মুল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তার বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়ে দিবো।
প্রিন্ট