রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ
নাটোরের লালপুরে থানা হেফাজত থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের ১৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রবিবার (১৩ জুলাই) নাটোর জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এজাহারভুক্ত ২৩ আসামি হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক আল আমিনের মহামান্য আদালত ৬ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ১৭ জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। বিষয়টি সময়ের প্রত্যাশাকে নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রুহুল আমিন তালুকদার টগর।
আসামি পক্ষের কৌঁসুলি ফিরোজ আহমেদ সময়ের প্রত্যাশাকে জানান জানান, মহামান্য হাইকোর্টের ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন শেষে রবিবার নাটোর জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন ২৩ আসামি। এ সময় আশরাফুল আলম লুলু (৫৬), এনামুল হক কালু (৩৮), মিলন ফরাজী (৩২), রাসেল আলী (৩৩), মিজানুর রহমান (৪০) ও আনারুল ইসলাম (৩৮) এর জামিন মঞ্জুর করে বাকি ১৭ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আটকৃতরা হলেন লালপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রায়হান কবির সুইট, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, গোপালপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা ভূবন সহ ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মী সুমন, আরিফ, মেহেদী, সজিব, মালেক, মিল্টন, তানভীর, লিটন, রাকিব, বাপ্পি, সোহাগ, চঞ্চল, সাকিবুল আলম সুলভ ও মাইনুল হক বিপ্লব।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়রামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ চৌধুরীর বাড়িতে মধ্যরাতে গুলি ছোড়ার ঘটনায় করা মামলায় গত ৮ এপ্রিল, ২০২৫ বিকেলে বাগাতিপাড়া ও লালপুর থানা-পুলিশ লালপুর উপজেলা ছাত্রদল নেতা রুবেলকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাঁকে বাগাতিপাড়া থানায় নেওয়ার প্রস্তুতিকালে ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী থানায় হাজির হয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে চাপ দেন। এ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রুবেলকে থানা হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁরা।আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বাগাতিপাড়া থানার এসআই মানিক কুমার চৌধুরী বাদি হয়ে ওইদিন রাতে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে লালপুর উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৩৮ জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ১২০ জনসহ মোট ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
প্রিন্ট