মোঃ গোলাম রাব্বীঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জের মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেয়ার কারণে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সোহাগকে নারকীয়ভাবে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় গঙ্গাচড়াতেও সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গঙ্গাচড়া বাজারের তাকওয়া মাদরাসার সামন থেকে বের হয়ে বাজারের প্রধাণ প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জিরো পয়েন্টে এসে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে ” চাঁদা বাজের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না ” স্লোগানে মুখরিত হয়।
এনসিপি সমন্বয়ক জীবন মিয়ার সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মুকুল। তিনি বলেন, জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে খুন গুম চাঁদাবাজির কোন স্থান নাই। ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিন, না হলে আপনাদেরকেও এই বাংলার মানুষ অবিলম্বে বিতারিত করবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গঙ্গাচড়া উপজেলা যুব বিভাগের সেক্রেটারি আতিকুজ্জামান আপেল বলেন, ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র – জনতা কোন চাঁদাবাজের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য জীবন দেয় নাই। যদি নিজের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন। তাহলে সেই দায় এড়ানোর সুযোগ আপনাদের নাই। আপনাদের সকল অপকর্মের উচিত জবাব এই বাংলার মানুষ দিবে।
গণঅধিকার পরিষদের রংপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শের ই খোদা বলেন, আমরা কোন দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। আমরা আন্দোলন করছি মানবতা বর্জিত চাঁদাবাজ খুনিদের বিরুদ্ধে। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ইসলামি আন্দোলনের উপজেলা সেক্রেটারি ইউনুছ আলী বলেন, মিটফোর্ডের ব্যবসায়ীকে হত্যাকান্ডের ঘটনা গোটা জাতির বিবেককে নাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশকে কোন চাঁদাবাজদের ইজারা দেয়া হয় নাই। চাঁদাবাজরা সাবধান হয়ে যান। নইলে আপনাদের অবস্থাও ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগের মতোই হবে।
এনপিপি’র উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী রিফাত চৌধুরী বলেন, যদি কেউ মনে করে ছাত্র জনতা ঘরে ফিরে গেছে তারা বোকার স্বর্গে আছে। বাংলাদের প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা সোচ্চার ছিল এবং আছে। সাবধান হয়ে যান,চাঁদাবাজি বন্ধ করুন, না হলে আপনাদের বিরুদ্ধেও জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রাবণ বলেন, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন করতে জানি। জাহেলিয়াত যুগের ন্যায় বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের জন্য যে কোন মুহূর্তে সর্ব স্তরের ছাত্র জনতা প্রস্তুত আছে।
প্রিন্ট