আরমান হোসেনঃ
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরে নিজের পিতার বিরুদ্ধে নির্যাতন, জমি দখলের চেষ্টা এবং মিথ্যা মামলার হয়রানির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জনি আহমেদ নামের এক ব্যক্তি।
১৪ জুলাই সোমবার দুপুর ১২ টায় কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবে অডিটোরিয়াম হলরুমে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে জনি তার মা জরিনা বেগম ও স্থানীয় কিছু ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জনি আহমেদ অভিযোগ করেন, তার পিতা আজাহারুল ইসলাম আরজু দীর্ঘদিন ধরে তাদের পারিবারিক বসতবাড়ির জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তিনি জানান, আজ থেকে প্রায় ২৩ বছর আগে তার বাবা আজাহারুল ইসলাম তার মা জরিনা বেগমের নামে ১৩.৫০ শতাংশ জমি লিখে দেন। এরপর তামান্না আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করে পরিবার ত্যাগ করেন তিনি।
জনির অভিযোগ, জমি পুনরায় দখলে নিতে আজাহারুল ইসলাম তার শ্বশুর, শালকসহ পরিবারের সদস্যদের ওপর একের পর এক হুমকি, শারীরিক নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানি করে চলেছেন। বর্তমানে আজাহারুল ইসলাম বিভিন্ন গাড়ি চুরির মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
জনি বলেন, “আমার বাবার অপরাধকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আমাকে বারবার থানায় ডেকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “এসব হয়রানির মূল কারণ জমি দখলের ষড়যন্ত্র। আমি এবং আমার পরিবার এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জনির আপন বড় চাচা মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভাই আজাহারুল ইসলাম আরজু প্রথম বিয়ের পর সে ভালো ছিল কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করার পর সে খারাপ পথে চলে যায় এবং আমার মায়ের কাছ থেকে সকল জমির তার নামে লিখে নেয়, দ্বিতীয় বউকে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় প্রথম বউ জরিনা বেগমের নামে বসত বাড়ির ভিটা টুকু দিয়ে যায় “জমি সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান হওয়া উচিত আদালতের মাধ্যমে। তবে পরিবারটির ওপর নির্যাতনের , তদন্ত করে উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার।”
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনি আহমেদ তার পিতার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, পুলিশি হয়রানি বন্ধ এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
ঘটনাটি কাশিমপুর এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন, যাতে তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন এবং তাদের আইনগত অধিকার রক্ষা পায়।
প্রিন্ট