ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল বাতাসের সঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে জেলায় চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিস আশঙ্কা করছে যে, এই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এদিকে, হাড়কাঁপানো শীতে সারাদিনেও সূর্যের দেখা মেলেনি। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুরের এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। সকালের দিকে তীব্র কুয়াশায় যানবাহনও চলছিল ধীরগতিতে। শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে তারা আগুন জ্বালিয়ে শরীর উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন। প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক চলাফেরা অনেকটা থমকে গেছে। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বেড়েছে, সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, বিশেষত বয়স্ক ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
তীব্র শীতের কারণে সল্প আয়ের মানুষ কাজে যেতে পারছেন না। বিভিন্ন স্থানে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কুষ্টিয়ায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। ফুটপাতের বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে, যেখানে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা আছেন। নতুন কাপড়ের দাম বাড়ায় পুরনো কাপড়ের দোকানে ঝুঁকছেন তারা। শহরের এনএস রোডের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ, বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট, মিরপুর পশুহাটসহ বিভিন্ন স্থানে বসেছে পুরনো কাপড়ের পসরা।
আরও পড়ুনঃ জনবল সংকটে ‘কাশিয়ানী শিক্ষা অফিস’
কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আর রশিদ জানান, শুক্রবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত জেলায় সর্বনিম্ন। তিনি আরও জানান, তাপমাত্রা কমলেও এটি শৈত্যপ্রবাহ নয়, কারণ শৈত্যপ্রবাহের জন্য তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে হওয়া প্রয়োজন।
প্রিন্ট