ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জনবল সংকটে ‘কাশিয়ানী শিক্ষা অফিস’

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বর্তমানে জনবল সংকটে ভুগছে, যার কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং নানা বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে।

 

উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। তাদের বেতন-ভাতা প্রদানসহ দৈনন্দিন দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, তবে জনবল সংকটের কারণে এসব কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সমাধান হয়নি, যা নিয়ে শিক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

 

কাশিয়ানী প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক পদটি শূন্য রয়েছে। এছাড়া অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের তিনটি পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র একজন এবং অফিসের একমাত্র পিয়ন এক মাস আগে পাশের উপজেলায় বদলি হয়ে যাওয়ায় তার পদও শূন্য। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

 

এ বিষয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষক নাসিবুর মোল্যা বলেন, “শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকার কারণে আমাদের মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। সামান্য কাজে অফিসে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্রুত শূন্য পদগুলো পূরণ করার দাবি জানাচ্ছি।”

 

আরও পড়ুনঃ মাগুরা গোপালগ্রামে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোবাখখারুল ইসলাম মিজান জনবল সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “জনবল সংকটের কারণে অফিসের কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতির হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

error: Content is protected !!

জনবল সংকটে ‘কাশিয়ানী শিক্ষা অফিস’

আপডেট টাইম : ০২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
লিয়াকত হোসেন লিংকন, স্টাফ রিপোর্টার :

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বর্তমানে জনবল সংকটে ভুগছে, যার কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং নানা বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে।

 

উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। তাদের বেতন-ভাতা প্রদানসহ দৈনন্দিন দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, তবে জনবল সংকটের কারণে এসব কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সমাধান হয়নি, যা নিয়ে শিক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

 

কাশিয়ানী প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক পদটি শূন্য রয়েছে। এছাড়া অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের তিনটি পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র একজন এবং অফিসের একমাত্র পিয়ন এক মাস আগে পাশের উপজেলায় বদলি হয়ে যাওয়ায় তার পদও শূন্য। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

 

এ বিষয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষক নাসিবুর মোল্যা বলেন, “শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকার কারণে আমাদের মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। সামান্য কাজে অফিসে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্রুত শূন্য পদগুলো পূরণ করার দাবি জানাচ্ছি।”

 

আরও পড়ুনঃ মাগুরা গোপালগ্রামে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোবাখখারুল ইসলাম মিজান জনবল সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “জনবল সংকটের কারণে অফিসের কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতির হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”


প্রিন্ট