ঢাকা , রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঈদে পুলিশকে খাসি কিনে দিতে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

রবিউল ইসলাম রুবেলঃ

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ডহরনগর ফাঁড়ির পুলিশকে ঈদ উপলক্ষে খাঁসি কিনে দেওয়ার কথা বলে রাপাপাত-কালিনগর বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে টাকা উত্তোলণের অভিযোগ উঠেছে রুপাপাত ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কালাম মোল্যা, একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সানোয়ার ও বাজার বণিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ মন্ডলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

.

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত কালিনগর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ বর্ণিক, রুপাপাত ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কালাম মোল্যা ও সানোয়ার মেম্বার ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে ঈদ উপলক্ষে খাসি কিনে দেয়ার কথা বলে বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা টাকা তোলেন। ওই চাঁদার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা স্থানীয় এক মেম্বারের মাধ্যমে পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠানো হয়। পরে ওই মেম্বার ফাঁড়ির ইনচার্জকে টাকা দেয়ার বিষয়টি জানালে ইনচার্জ মাইকেল মধুসুদন পান্ডে টাকা নিতে রাজি হয়নি। পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মেম্বার চাঁদার টাকা বাজারের সভাপতি লক্ষণ মন্ডলের কাছে ঈদের দিন বিকেলে ফিরিয়ে দেয়।

.

বাজারের ব্যবসায়ী সুজিত পাল, উত্তম দত্ত, কৃষ্ণ মালো বলেন, ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে খাসি কিনে দেবে বলে কালাম মোল্যা, সানোয়ার মেম্বার, লক্ষণ মন্ডল আমাদের সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২শ ৩শ এবং প্রকার ভেদে ৫শ করে টাকা উঠিয়ে নেয়। এ বাজারে প্রায় পাঁচশো দোকান ঘর রয়েছে।

.

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা কালাম মোল্যা বলেন, ‘কোন চাঁদাবাজি আমরা করিনা। যারা অভিযোগ দিছে তারাই চাঁদাবাজ!

.

রুপাপাত বাজার থেকে প্রতি বছর টাকা উঠিয়ে ডহরনগর ফাঁড়িতে একটি খাসি দেয়া হয়। পরে সাংবাদিকরা জানাজানি হলে ফাঁড়ির আইসি সাহেব টাকা ফিরিয়ে দেয়। পরে লক্ষণ বনিক সেই টাকা যাদের কাছ থেকে উঠিয়েছিলন তাদের কাছে ফেরত দেন। তবে দোকানদাররা বলছেন তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত পাননি।

.

সানোয়ার মেম্বর (01735-676255) ও লক্ষণ মন্ডলের (01713425599) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভড করেননি। ফলে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

.

ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মধুসুধন পান্ডে বলেন, শুনেছি পুলিশ ফাঁড়ির কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কালাম মোল্যা, সানোয়ার মেম্বর ও লক্ষণ মন্ডল টাকা তুলেছে। আমাদের ফাঁড়িতে কেউ কোন টাকা দেয়নি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

.

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এমন ঘটনা কেউ ঘটালে ব্যবসায়ীরা যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবো।।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ঈদে পুলিশকে খাসি কিনে দিতে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম : ০৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
রবিউল ইসলাম রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার :

রবিউল ইসলাম রুবেলঃ

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ডহরনগর ফাঁড়ির পুলিশকে ঈদ উপলক্ষে খাঁসি কিনে দেওয়ার কথা বলে রাপাপাত-কালিনগর বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে টাকা উত্তোলণের অভিযোগ উঠেছে রুপাপাত ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কালাম মোল্যা, একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সানোয়ার ও বাজার বণিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ মন্ডলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

.

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত কালিনগর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ বর্ণিক, রুপাপাত ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কালাম মোল্যা ও সানোয়ার মেম্বার ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে ঈদ উপলক্ষে খাসি কিনে দেয়ার কথা বলে বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা টাকা তোলেন। ওই চাঁদার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা স্থানীয় এক মেম্বারের মাধ্যমে পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠানো হয়। পরে ওই মেম্বার ফাঁড়ির ইনচার্জকে টাকা দেয়ার বিষয়টি জানালে ইনচার্জ মাইকেল মধুসুদন পান্ডে টাকা নিতে রাজি হয়নি। পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মেম্বার চাঁদার টাকা বাজারের সভাপতি লক্ষণ মন্ডলের কাছে ঈদের দিন বিকেলে ফিরিয়ে দেয়।

.

বাজারের ব্যবসায়ী সুজিত পাল, উত্তম দত্ত, কৃষ্ণ মালো বলেন, ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে খাসি কিনে দেবে বলে কালাম মোল্যা, সানোয়ার মেম্বার, লক্ষণ মন্ডল আমাদের সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২শ ৩শ এবং প্রকার ভেদে ৫শ করে টাকা উঠিয়ে নেয়। এ বাজারে প্রায় পাঁচশো দোকান ঘর রয়েছে।

.

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা কালাম মোল্যা বলেন, ‘কোন চাঁদাবাজি আমরা করিনা। যারা অভিযোগ দিছে তারাই চাঁদাবাজ!

.

রুপাপাত বাজার থেকে প্রতি বছর টাকা উঠিয়ে ডহরনগর ফাঁড়িতে একটি খাসি দেয়া হয়। পরে সাংবাদিকরা জানাজানি হলে ফাঁড়ির আইসি সাহেব টাকা ফিরিয়ে দেয়। পরে লক্ষণ বনিক সেই টাকা যাদের কাছ থেকে উঠিয়েছিলন তাদের কাছে ফেরত দেন। তবে দোকানদাররা বলছেন তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত পাননি।

.

সানোয়ার মেম্বর (01735-676255) ও লক্ষণ মন্ডলের (01713425599) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভড করেননি। ফলে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

.

ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মধুসুধন পান্ডে বলেন, শুনেছি পুলিশ ফাঁড়ির কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কালাম মোল্যা, সানোয়ার মেম্বর ও লক্ষণ মন্ডল টাকা তুলেছে। আমাদের ফাঁড়িতে কেউ কোন টাকা দেয়নি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

.

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এমন ঘটনা কেউ ঘটালে ব্যবসায়ীরা যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবো।।


প্রিন্ট