ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হজম হচ্ছে না নিয়োগ বাণিজ্যের অবৈধ ঘুষের টাকা মাগুরাতে আলোচিত ৪ নিয়োগ বাণিজ্যের মামলা Logo মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ Logo ভেড়ামারায় খাবারে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ নববধূর বিরুদ্ধে Logo তানোরে জামায়াতের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ কর্মী সভা Logo তানোরে হিমাগার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা Logo ফরিদপুরে খেয়ালী ‌ নাট্য সম্প্রদায়ের ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিন ব্যাপী নাট্য উৎসব সমাপ্ত Logo কুষ্টিয়ায়-নছিমন সংঘর্ষে গরু ব্যবসায়ী নিহত Logo কালুখালী সরকারী কলেজের প্রভাষক আ: রাজ্জাক আর নেই Logo নাটোরে শ্মশান থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার Logo ইতালি’র পালেরমোতে বাংলাদেশ সমিতি ইউরো মেডিতেররানেয়ার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সংবাদ প্রকাশের পরেও রাজশাহী সড়ক বিভাগে এখনো বহাল দূর্নীতিবাজ প্রকৌশলী হাকিম

৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পরও আজ অবদি বিভিন্ন দপ্তরে তাঁদের দোসরা এখনো রয়েছেন বহালতবিয়তে। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলেও আ’লীগ পন্থী প্রকৌশলী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি তৎকালীন সরকার। রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির পাহাড় পরিমান অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি এখনো স্বপদে বহাল আছেন। আওয়ামী লীগ পন্থী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম তাঁর দলীয় কিছু ঠিকাদার মারফত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু সুবিধাবাদী ছত্রছায়ায় পূর্বের ন্যায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আ’লীগ ছাড়া ভিন্ন মতাদর্শে কোনো ঠিকাদারকে তিনি সড়ক বিভাগে ঢুকতে দেননি। সড়কের সকল কাজই করেছেন আ’লীগ পন্থী ঠিকাদাররা। নিম্নমানের কাজ ও কমিশন বানিজ্য করে ঠিকাদার ও প্রকৌশলী হাতিয়ে নিছেন কোটি কোটি টাকা। ইজিপি’র নামে কোটেশন বানিজ্যের মূলহোতা তিনি।
রাজশাহী সড়ক বিভাগের নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সাবেক ওই মন্ত্রী। কমিশনের টাকা মন্ত্রী থেকে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ভাগ পেয়েছে বলেই কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের এ পর্যন্ত যত কাজ করেছেন তাঁর থেকে ২০% কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগ খোদ ঠিকাদারদের। পদে পদে কমিশন দেওয়ায় হয়েছে নিম্নমানের কাজ, চলেছে লুটপাট। প্রতিটি কাজে ২০% কমিশন নিয়ে ইতোমধ্যে শত কোটি টাকা মালিক হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া আহ্বান করেছেন বঞ্চিত অনেক ঠিকাদার। সংবাদ প্রকাশ হলেই সুবিধা ভোগী ঠিকাদার মারুফ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কতিপয় ছাত্র পরিচয়ে সাংবাদিকদের ফোন করিয়ে হুমকি দেন প্রকৌশলী হাকিম।
মারুফ নামে ঠিকাদার কাজের সততা স্বীকার পূর্বক প্রকৌশলীর গুণকীর্তন করে প্রতিবেদককে জানায় সেখানকার সব কাজ তিনি করেন। অন্যান্য কাজগুলো ভাগ করে বন্ঠন করেন। স্যার খুব ভালো মানুষ তিনি কোনো ঘুষ খান না।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, মহাসড়কে হওয়া প্রতিটি কাজ রি-টেন্ডার করে একই কাজে বিল বৃদ্ধি করা হয়েছে। কাজগুলো এতোটাই নিম্নমানের করা হয়েছে ইতোমধ্যে প্রতিটি রাস্তার ফাটল ও ভাঙ্গন ধরেছে। সরকারি টাকা লুটপাট করে আব্দুল হাকিম গ্রামে ও ঢাকায় গড়েছে বাড়ি গাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যান্ত জরুরি।
এসব বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দিয়ে রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁকে ম্যাসেঞ্জারে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি ফোন ব্যাক করেন। এসময় তিনি বলেন আমি কোনো অনিয়ম করি না। এর আগে নিউজ হয়েছিলো তখন তো প্রশাসনের অনেকেই এসেছিলো। কিন্তু সাংবাদিকরা আসেনি। অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি আ’লীগ, বিএনপি, জামায়াত বুঝি না। ইজিপিতে টেন্ডার হয় যারা অংশ নেয় তাদের মধ্যেই কাজ পায়। এখানে কোনো ফেভার করার সুযোগ নাই।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হজম হচ্ছে না নিয়োগ বাণিজ্যের অবৈধ ঘুষের টাকা মাগুরাতে আলোচিত ৪ নিয়োগ বাণিজ্যের মামলা

error: Content is protected !!

সংবাদ প্রকাশের পরেও রাজশাহী সড়ক বিভাগে এখনো বহাল দূর্নীতিবাজ প্রকৌশলী হাকিম

আপডেট টাইম : ০৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
মোঃ মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পরও আজ অবদি বিভিন্ন দপ্তরে তাঁদের দোসরা এখনো রয়েছেন বহালতবিয়তে। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলেও আ’লীগ পন্থী প্রকৌশলী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি তৎকালীন সরকার। রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির পাহাড় পরিমান অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি এখনো স্বপদে বহাল আছেন। আওয়ামী লীগ পন্থী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম তাঁর দলীয় কিছু ঠিকাদার মারফত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু সুবিধাবাদী ছত্রছায়ায় পূর্বের ন্যায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আ’লীগ ছাড়া ভিন্ন মতাদর্শে কোনো ঠিকাদারকে তিনি সড়ক বিভাগে ঢুকতে দেননি। সড়কের সকল কাজই করেছেন আ’লীগ পন্থী ঠিকাদাররা। নিম্নমানের কাজ ও কমিশন বানিজ্য করে ঠিকাদার ও প্রকৌশলী হাতিয়ে নিছেন কোটি কোটি টাকা। ইজিপি’র নামে কোটেশন বানিজ্যের মূলহোতা তিনি।
রাজশাহী সড়ক বিভাগের নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সাবেক ওই মন্ত্রী। কমিশনের টাকা মন্ত্রী থেকে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ভাগ পেয়েছে বলেই কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের এ পর্যন্ত যত কাজ করেছেন তাঁর থেকে ২০% কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগ খোদ ঠিকাদারদের। পদে পদে কমিশন দেওয়ায় হয়েছে নিম্নমানের কাজ, চলেছে লুটপাট। প্রতিটি কাজে ২০% কমিশন নিয়ে ইতোমধ্যে শত কোটি টাকা মালিক হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া আহ্বান করেছেন বঞ্চিত অনেক ঠিকাদার। সংবাদ প্রকাশ হলেই সুবিধা ভোগী ঠিকাদার মারুফ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কতিপয় ছাত্র পরিচয়ে সাংবাদিকদের ফোন করিয়ে হুমকি দেন প্রকৌশলী হাকিম।
মারুফ নামে ঠিকাদার কাজের সততা স্বীকার পূর্বক প্রকৌশলীর গুণকীর্তন করে প্রতিবেদককে জানায় সেখানকার সব কাজ তিনি করেন। অন্যান্য কাজগুলো ভাগ করে বন্ঠন করেন। স্যার খুব ভালো মানুষ তিনি কোনো ঘুষ খান না।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, মহাসড়কে হওয়া প্রতিটি কাজ রি-টেন্ডার করে একই কাজে বিল বৃদ্ধি করা হয়েছে। কাজগুলো এতোটাই নিম্নমানের করা হয়েছে ইতোমধ্যে প্রতিটি রাস্তার ফাটল ও ভাঙ্গন ধরেছে। সরকারি টাকা লুটপাট করে আব্দুল হাকিম গ্রামে ও ঢাকায় গড়েছে বাড়ি গাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যান্ত জরুরি।
এসব বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দিয়ে রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁকে ম্যাসেঞ্জারে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি ফোন ব্যাক করেন। এসময় তিনি বলেন আমি কোনো অনিয়ম করি না। এর আগে নিউজ হয়েছিলো তখন তো প্রশাসনের অনেকেই এসেছিলো। কিন্তু সাংবাদিকরা আসেনি। অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি আ’লীগ, বিএনপি, জামায়াত বুঝি না। ইজিপিতে টেন্ডার হয় যারা অংশ নেয় তাদের মধ্যেই কাজ পায়। এখানে কোনো ফেভার করার সুযোগ নাই।

প্রিন্ট