পাবনার ঈশ্বরদীতে লাগাতার তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। ঘরে-বাইরে অসহ্য গরম। বাতাসে বইছে হল্কা। সপ্তাহ জুড়ে টানা দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী। খাঁ খাঁ রোদে ঈশ্বরদী শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলোতে লোক চলাচল কমে গেছে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঈশ্বরদীতে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। ২০২৩ সালে এই দিনে ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এর আগে সর্বোচ্চ বুধবার ৪০ দশমিক ৫ ও বৃহস্পতিবার ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে তীব্র ও মাঝারি তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকজন যেন এই রোদে ঘর থেকে বের না হয় এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে ইত্যাদি বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।
দুপুরের আগেই শহরের পিচঢালা সড়কগুলো থেকে উষ্ণ হয়ে উঠে। ফলে সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল, রিকশা ও অটোবাইক চালকদের চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে দেখা যায়, রোদের তীব্রতায় জংশন স্টেশনের বাতাস গরম হয়ে উঠেছে। অপেক্ষমাণ ট্রেন যাত্রীরা গরমে হাঁসফাঁস উঠেছে।
প্রখর রোদে ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘ সময় ধরে পুকুরে নেমে ঝাপাঝাপি করতে দেখা গেছে। তীব্র খরায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে উপজেলা জুড়ে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
প্রিন্ট