রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ
নাটোরের লালপুরে মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে (স্কিনে) ভেসে উঠলো “জয় বাংলা আমার অহংকার, তায় বাংলার দিকে যে তাকাবে তার চোখ উপরে নেওয়া হবে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” লেখা সংবলিত স্লোগান। এতে মসজিদের মুসল্লী ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ, চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে এ লেখা স্লোগানটি দেখতে পান মসজিদের মুসল্লিরা।
মসজিদের মুসল্লী শিক্ষক মোঃ আকরাম হোসাইন জানান, ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি এই মসজিদের মুসল্লী লিটনের পরিবার দুই বছর আগে মসজিদে এই ডিভাইসটি দান করে। এরপর থেকে ডিভাইসটি আমাদের মসজিদে লাগানো আছে। কেউ হয়তো এটি হ্যাক করে এ ধরনের লেখা প্রচার করেছে। মাগরিবের নামাজের পর আমরা এটি লক্ষ্য করেছি।
মসজিদের ইমাম মোঃ মানিক বলেন, আমি ইলেকট্রনিক ডিভাইস সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। মাগরিবের নামাজ পর আমি ও মুসল্লিরা বিষয়টি খেয়াল করেছি।
এ বিষয়ে মসজিদের সভাপতি বজলুর রহমান জানান, আমরা মসজিদের গেটে ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ঈদের নামাজের সময়সূচী, ফিতরা সম্পর্কিত তথ্য ও ঈদ মোবারক লেখাগুলো স্ক্রলিং করে চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে বুধবার মাগরিবের নামাজ পর “জয় বাংলা আমার অহংকার, তায় বাংলার দিকে যে তাকাবে তার চোখ উপরে নেওয়া হবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” স্লোগান পরিলক্ষিত হলে আমরা ওই ডিজিটাল স্কিনটি খুলে রেখেছি।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা বিএনপি সাবেক সদস্য সচিব হারুনার রশিদ পাপ্পু জানান, পতিত সরকার শেখ হাসিনার দোসররা জুলাই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করার জন্য ও দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার জন্য এসব কাজ করছে। আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। কে বা কারা এ ধরনের কাজ করেছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে । এলাকার পরিস্থিতি শান্ত ও নিরাপদ রাখতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য এর আগে সোমবার ঈদের দিন রামকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে জয় বাংলা স্লোগানকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়। ওই ঘটনায় লালপুর থানায় ৪২ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১৫০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন গুলিতে আহত সুজাতের পিতা আরজেত আলী প্রামাণিক।
প্রিন্ট