এর আগে করোনাকালে চিকিৎসার জন্য জমানো পুরো ১ লাখ টাকা কর্মহীন অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে সাড়া ফেলেছিলেন এ দম্পতি। এমনকি নিজেদের বাড়ি নির্মাণের জন্য কেনা ইট বিক্রি করে সেই সময় ইফতারসামগ্রী বিতরণ করে আলোচিত হয়েছিলেন তারা। শিরিন-জিয়া বাগাতিপাড়া পৌরসভার মালঞ্চি রেলগেট এলাকায় রেলের পরিত্যক্ত জমিতে বসবাস করেন। পেশায় স্বামী জিয়াউর রহমান ঠিকাদারির সহযোগী এবং শিরিন আক্তার আনসার-ভিডিপির পৌর ওয়ার্ড লিডার।
শিরিন জানান, তার স্বামী জিয়াউর রহমান মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাড়িসংলগ্ন রেললাইনের ধারে লেবুবাগানে একটি ব্যাগ কুড়িয়ে পান। সেই ব্যাগে নগদ সাড়ে ৮ হাজার টাকা, নষ্ট মোবাইল ফোন, নতুন পোশাকসহ ব্যবহারের বিভিন্ন সামগ্রী ছিল। পরে দুজনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যাগের মালিককে খুঁজতে শুরু করেন। নষ্ট মোবাইলের ভেতরে থাকা সিমকার্ডের সূত্রধরে তারা ব্যাগের মালিক মো. শাকিলের সন্ধান পান।
ব্যাগের মালিক মো. শাকিল জানান, তিনি ঢাকার মতিঝিলে একটি ছাপাখানায় কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ির সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক কিনে গত ৯ এপ্রিল লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে রংপুরে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি বাগাতিপাড়ার ওই এলাকা অতিক্রম করার সময় হঠাৎ করেই ব্যাগটি ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে বাগাতিপাড়া এলাকায় এসে খুঁজেছেন কিন্তু পাননি।
- আরও পড়ুনঃ একটি ছবি অজস্র কথা
উল্লেখ্য, শিরিন আক্তার দীর্ঘদিন থেকে হার্ট, কিডনি ও মেরুদণ্ডের অসুখে ভুগছেন। ভারতে নিয়মিত চিকিৎসা নেন। ব্যক্তিগতজীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
প্রিন্ট