ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভবানীপুর টানপাড়া এলাকার খায়রুল ইসলাম রতন মাষ্টার ও প্রতিবেশী ইউনুছ আলী গংদের জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে। বিরোধ নিষপত্তি করতে একাধিকবার সালিশে বসেন স্থানীয় গণ্যমান্যরা। বহু চেষ্টার পরেও হয়নি কোন সমাধান। উল্টো অনেককেই সম্মানহানী হতে হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
জমি নিয়ে বিরোধে খুন জখম, হামলার হুমকির অভিযোগ তুলে থানায় ইউনুছ আলী (৮০) বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ফুলবাড়ীয়া থানা অভিযোগ গ্রহণ নং- ৮৫ তারিখ ১৯/০১/২০২৪ ইং। প্রেক্ষিতে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় মানবিক পুলিশ অফিসার এসআই শাহীনুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতৃস্থানীয়দের উপস্থিতে বিবাদমান বিষয়ে উভয় পক্ষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট না করার অনুরোধ করেন। হঠাৎ এসময় এসআই শাহীনুল ইসলাম এর মুঠোফোনে পুলিশের এসআই পরিচয়দানকারি (কেরানীগঞ্জ সার্কেল অফিসে কর্মরত) এস আই অলক ও মাহমুদুল ওরফে সজল নামীয় ব্যক্তি রতন তাদের কাকা হয় মর্মে ফোন করে বিভিন্ন বিষয় চার্জ করে। এ ঘটনায় এসআই শাহীনুল সিনিয়র ব্যাচের সাব ইন্সপেক্টর পরিচয় দিলেও তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি ও খারাপ ব্যবহার করে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ফুলবাড়ীয়া থানায় জিডি করেন।
এসআই শাহীনুলকে বেকায়দায় ফেলতে তাকে জড়িয়ে রতন মাস্টার ও তার সংবলিত ছবি ও নাম ব্যবহার করে থাম্বনেইল দিয়ে ডাবিং করা অশোভনীয় গালিগলাজ (কথোপকথন) প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয় পরে তা ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যা তাঁর কন্ঠস্বরের সাথে মিল নাই বলে তিনি জানান। যদিও ঘটনার অনুসন্ধানে রতন মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ভাই মাওলানা কাজল মাস্টারের সাথে গালিগলাজ হয়নি উল্লেখ করে যা হয়েছে ঘটনাটি নিস্পত্তি করার অনুরোধ জানান তিনি।
ইউপি সদস্য শহীদ জানান, মূলত যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব তা খাস জমি। আমরা সমঝোতার আগ পর্যন্ত ঐ জমিতে উভয় পক্ষকে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিলাম। রতন মাস্টার তা মানেননি।
ভবানীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জবান আলী বলেন, রতন মাষ্টারদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আমি ও স্থানীয় গণ্যমান্যরা একাধিকবার সালিশ করেছি। তিনি আমাদের সালিশ মানেনি।
প্রিন্ট