ঢাকা , শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ৫০ শতাংশ ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ Logo ফরিদপুর -২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জামাল হোসেন মিয়া Logo এমপি হতে পারলে নারীদের অগ্রাধিকার ও ঘরে ঘরে চাকরী দেয়ার আশ্বাসঃ -মহমুদা বেগম কৃক Logo ফরিদপুরে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হাতিয়ায় সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে ধ্বংস, আটক ১ Logo পর্তুগালের নব নিযুক্ত রাষ্টদূতের সাথে বাংলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময় Logo দৌলতপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা Logo মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা Logo ইনুর আসনে লড়তে চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা কামারুল
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরের সদরপুরের রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

- ফরিদপুরের সদরপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলায় মাটিতে নুয়ে পড়া রোপা আমন ধান।

চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে ফরিদপুরের সদরপুরের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছিল । কিন্তু সেই হাসিতে বাঁধ সেধেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলা। গত দু’দিনে মিধিলার ঝড়োবৃষ্টিতে পাকা আমন ধানের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিশেষ করে যে ধান এখনও ক্ষেতেই রয়ে গেছে, কেটে ঘরে তোলা হয়নি। উপজেলার মটুকচর, মজুমদার বাজার, খেজুরতলা চৈতার কোল, ঢেউখালী এলাকায় সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে এই প্রতিবেদক দেখেন, অনেক ক্ষেতের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। অনেকে পাকা ধান কেটে ক্ষেতেই রেখে দিয়েছেন, কাটা ধান অকাল বৃষ্টির পানিতে ভিজে রয়েছে।

 

মটুকচরের কৃষক বাতেন মুন্সী জানান, আমি ৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন করেছি। মিধিলায় আমার ক্ষেতের কিছু পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। আশেপাশের অনেকের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধানে পুষ্টতা আসে না। বেশিরভাগ চিটা হয়ে যায়। এটাই চিন্তার কারণ।

 

উপজেলার মজুমদার বাজার গ্রামের কৃষক সায়াদ জানান যে তার জমিতে নামিতে ধান রোপন করা হয়েছিল। আর দশ বারো দিন গেলে পুরোপুরি পেকে যেত। এই অবস্থায় দুইদিনের ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষেতের কিছু ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ক্ষতি যা হবার তাতো এড়ানো যাবে না।ঢেউখালী গ্রামের হাসান জানান, তারও কিছু পাকা ধান নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধান ঘরে তুলতে খরচ বেড়ে যায়। সাধারণত যেখানে ৪টা কৃষাণ (লেবার) লাগে, নুয়ে পড়া ধান কাটতে ৬টা লাগে।

 

 

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার ইসমাইল শরীফ জানান চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে মোট ৬২৯১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে৷ অনুকুল আবহাওয়া, সময়মতো সার ও বীজ বপন, সঠিক পরিচর্চার কারণে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। লক্ষমাত্রা পূরণ হবার পথেই ছিল। কিন্তু প্রকৃতির উপর কারও হাত নেই। ঘূর্ণিঝড় মিধিলার কারণে ক্ষেতে থাকা ১০ শতাংশ পাকা ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। যদি আর বৃষ্টি না হয় তবে বাকী ধান ঠিকমতো তুলতে পারবে এবং কৃষকদের সামান্য ক্ষতি হলেও তেমন প্রভাব পড়বে না।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

৫০ শতাংশ ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ

error: Content is protected !!

ফরিদপুরের সদরপুরের রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে ফরিদপুরের সদরপুরের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছিল । কিন্তু সেই হাসিতে বাঁধ সেধেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলা। গত দু’দিনে মিধিলার ঝড়োবৃষ্টিতে পাকা আমন ধানের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিশেষ করে যে ধান এখনও ক্ষেতেই রয়ে গেছে, কেটে ঘরে তোলা হয়নি। উপজেলার মটুকচর, মজুমদার বাজার, খেজুরতলা চৈতার কোল, ঢেউখালী এলাকায় সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে এই প্রতিবেদক দেখেন, অনেক ক্ষেতের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। অনেকে পাকা ধান কেটে ক্ষেতেই রেখে দিয়েছেন, কাটা ধান অকাল বৃষ্টির পানিতে ভিজে রয়েছে।

 

মটুকচরের কৃষক বাতেন মুন্সী জানান, আমি ৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন করেছি। মিধিলায় আমার ক্ষেতের কিছু পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। আশেপাশের অনেকের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধানে পুষ্টতা আসে না। বেশিরভাগ চিটা হয়ে যায়। এটাই চিন্তার কারণ।

 

উপজেলার মজুমদার বাজার গ্রামের কৃষক সায়াদ জানান যে তার জমিতে নামিতে ধান রোপন করা হয়েছিল। আর দশ বারো দিন গেলে পুরোপুরি পেকে যেত। এই অবস্থায় দুইদিনের ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষেতের কিছু ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ক্ষতি যা হবার তাতো এড়ানো যাবে না।ঢেউখালী গ্রামের হাসান জানান, তারও কিছু পাকা ধান নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধান ঘরে তুলতে খরচ বেড়ে যায়। সাধারণত যেখানে ৪টা কৃষাণ (লেবার) লাগে, নুয়ে পড়া ধান কাটতে ৬টা লাগে।

 

 

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার ইসমাইল শরীফ জানান চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে মোট ৬২৯১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে৷ অনুকুল আবহাওয়া, সময়মতো সার ও বীজ বপন, সঠিক পরিচর্চার কারণে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। লক্ষমাত্রা পূরণ হবার পথেই ছিল। কিন্তু প্রকৃতির উপর কারও হাত নেই। ঘূর্ণিঝড় মিধিলার কারণে ক্ষেতে থাকা ১০ শতাংশ পাকা ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। যদি আর বৃষ্টি না হয় তবে বাকী ধান ঠিকমতো তুলতে পারবে এবং কৃষকদের সামান্য ক্ষতি হলেও তেমন প্রভাব পড়বে না।