ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে বিসমিল্লাহ বস্ত্রালয় মার্কেটে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিসমিল্লাহ বস্ত্রালয়ের মার্কেটে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের জয়পাশা বাজারে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জয়পাশা গ্রামের সৈয়দ পলাশ আলী (৫৪) নামের একজন ব্যবসায়ীর বস্ত্রালয়ের মার্কেটের সাঁটারের তালা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী পলাশ কান্না জরিত কন্ঠে সাংবাদিদের বলেন, আমার দোকানে ৬ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বেচাকেনা করে মার্কেট বন্ধ করে বাড়ি যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মার্কেটে গিয়ে দেখি একটি সাঁটারে তালা নাই। হঠাৎ এমনটি দেখে আমার আত্মাটা কেঁপে উঠল। সাঁটার উঠিয়ে দেখলাম দোকানের কিছু মালামাল এলোমেলো। আর গ্লাসের আলমারির ভেতরে এবং বাইরে দামি দামি শাড়ি কাপড়, থ্রি-পিস, বোরকা, প্যান্ট, শার্ট, ও শিশুদের পোশাক সবগুলো পোশাক যার আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ টাকা। এসমস্থ মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা ।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন প্রবাসী ১৫ বছর ধরে কুয়েতে প্রবাসী জীবন পার করেছি। ২০২০ সালের গত ডিসেম্বর মাসে দেশে এসেছি। দেশে এসে বস্ত্রালয়ের দোকান করি। প্রথমে ছোট একটি দোকানে ব্যবসা শুরু করি।
সে দোকান ছেড়ে দিয়ে গত শুক্রবার (২৯.০৯.২১) মিলাদ ও দোয়ার মধ্যদিয়ে উদ্বোধন করা হয়। আজ তা চুরি হয়ে আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
এ নিয়ে জয়পাশা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের বাজারে দোকান মালিক পক্ষের থেকে রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৮-৯ জন প্রতিদিন পাহারা দিয়ে থাকে। তবে বাজারের একপাশে সি সি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় যে দিন বাজার চুরি হয়েছে প্রহরীরা দুইটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত পাহারা দিয়ে চলে যায়। এর পরেই চুরি সংঘটিত হতে পারে।
এ জন্য প্রহরীদের নিয়ে গণ্যমান্য শালিসের মাধ্যমে তাদের গাফেলতির জন্য প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রহরীদের বক্তব্য আনতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় নিয়ে বোয়লমারী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আলমকে একাধিক বার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারিনি। তবে পুলিশের উপপরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা সালাউদ্দীনকে কল করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে বিসমিল্লাহ বস্ত্রালয় মার্কেটে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত

আপডেট টাইম : ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
এস. এম. রুবেল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিসমিল্লাহ বস্ত্রালয়ের মার্কেটে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের জয়পাশা বাজারে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জয়পাশা গ্রামের সৈয়দ পলাশ আলী (৫৪) নামের একজন ব্যবসায়ীর বস্ত্রালয়ের মার্কেটের সাঁটারের তালা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী পলাশ কান্না জরিত কন্ঠে সাংবাদিদের বলেন, আমার দোকানে ৬ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বেচাকেনা করে মার্কেট বন্ধ করে বাড়ি যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মার্কেটে গিয়ে দেখি একটি সাঁটারে তালা নাই। হঠাৎ এমনটি দেখে আমার আত্মাটা কেঁপে উঠল। সাঁটার উঠিয়ে দেখলাম দোকানের কিছু মালামাল এলোমেলো। আর গ্লাসের আলমারির ভেতরে এবং বাইরে দামি দামি শাড়ি কাপড়, থ্রি-পিস, বোরকা, প্যান্ট, শার্ট, ও শিশুদের পোশাক সবগুলো পোশাক যার আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ টাকা। এসমস্থ মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা ।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন প্রবাসী ১৫ বছর ধরে কুয়েতে প্রবাসী জীবন পার করেছি। ২০২০ সালের গত ডিসেম্বর মাসে দেশে এসেছি। দেশে এসে বস্ত্রালয়ের দোকান করি। প্রথমে ছোট একটি দোকানে ব্যবসা শুরু করি।
সে দোকান ছেড়ে দিয়ে গত শুক্রবার (২৯.০৯.২১) মিলাদ ও দোয়ার মধ্যদিয়ে উদ্বোধন করা হয়। আজ তা চুরি হয়ে আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
এ নিয়ে জয়পাশা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের বাজারে দোকান মালিক পক্ষের থেকে রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৮-৯ জন প্রতিদিন পাহারা দিয়ে থাকে। তবে বাজারের একপাশে সি সি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় যে দিন বাজার চুরি হয়েছে প্রহরীরা দুইটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত পাহারা দিয়ে চলে যায়। এর পরেই চুরি সংঘটিত হতে পারে।
এ জন্য প্রহরীদের নিয়ে গণ্যমান্য শালিসের মাধ্যমে তাদের গাফেলতির জন্য প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রহরীদের বক্তব্য আনতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় নিয়ে বোয়লমারী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আলমকে একাধিক বার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারিনি। তবে পুলিশের উপপরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা সালাউদ্দীনকে কল করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

প্রিন্ট