মোঃ জিয়াউর রহমানঃ
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত অভিভাবক রজনী খাতুনের (৩৭) কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিমানবাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে একটি দল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামে রজনীর বাড়িতে যায়। যশোর বিমানঘাঁটির উইং কমান্ডার কামরুল হাসান বারীর নেতৃত্বে দলটির সদস্যরা রজনীর কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পরে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়। এ সময় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
নিহত রজনী সাদিপুরের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের মেয়ে। রজনী রাজধানীর উত্তরায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তিনি দুর্ঘটনার দিন মেয়ে ঝুমঝুমকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে মাথায় বিমানের ধ্বংসাবশেষের আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঝুমঝুম দুর্ঘটনার সময় স্কুলের ক্যানটিনে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। রজনীর ছোট ছেলে এস এম রোহান ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে এবং সেদিন অসুস্থ থাকায় সে স্কুলে যায়নি। বড় ছেলে এস এম রুবাই ঢাকার একটি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিদলের শ্রদ্ধা নিবেদন প্রসঙ্গে রজনীর স্বামী জহুরুল বলেন, “আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। মহান আল্লাহ যেন আমার স্ত্রীকে জান্নাতবাসী করেন, সবার কাছে সেই দোয়া কামনা করছি।” এ বিষয়ে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, “বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রজনী খাতুনের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের, দৌলতপুর থানার ওসি সোলাইমান শেখ ও আমি উপস্থিত ছিলাম।”
প্রিন্ট