ঢাকা , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ২৯ বছরের অবদান ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেঃ -প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক Logo খোকসায় মুক্তিযোদ্ধা দিয়ানত আলী মাস্টার ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন Logo ফরিদপুরে আইডিইবির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‌ Logo এম এ আজিজ গোল্ড কাপ ফুটবলের ‌ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo ফ্যাসিবাদের পতন হলেও দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি — হারুন অর রশীদ Logo বেনাপোলে বেগম খালেদা জিয়া ও রকিবুল ইসলাম বকুলের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল Logo হাতিয়ায় শহীদ রিজভীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম Logo মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: নিহত অভিভাবক রজনীর কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন Logo রংপুরে হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ জনের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর Logo আলফাডাঙ্গায় চলছে নদীভাঙনের তাণ্ডব, আতঙ্কে দিন কাটছে শত শত পরিবার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে আমণ চাষে ব্যন্ত সময় পার করছে কৃষকেরা

আলিফ হোসেনঃ

 

রাজশাহীর তানোরে বৃষ্টি নির্ভর রোপা-আমণ ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এবছর আষাঢ় মাসের শুরু থেকেই আশানুরূপ বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি জমে আমন চাষে সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। গত ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার কামারগাঁ, মণ্ডুমালা, পাঁচন্দর ও তালন্দ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে জমি প্রস্তুত করে আমন রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তরুণ কৃষক মেহেদী হাসান সংগ্রাম বলেন, “এ সময়টি আমন চাষের জন্য উপযুক্ত। আমরা স্বর্ণা-৫, ব্রি-৫১, সুমন স্বর্ণা প্রভৃতি উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান রোপণ করছি।”

 

তানোর প্রচন্ড খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পানির অভাবের আশঙ্কা থাকলেও এবারের নিয়মিত বৃষ্টিপাতে কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে শ্রাবণ মাসের শুরুতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় বিল পাড়ের কিছু জমি তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যা কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ সুমন রানা বলেন, “আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে থেকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। বৃষ্টির কারণে মাজরা পোকা বা খোলপোড়া রোগের ঝুঁকি থাকলেও কৃষকদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।”কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এ বছর আমনের উৎপাদন লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং বীজ, সার ও পরামর্শ প্রদানে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তানোরের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সবুজ ধানের সমারোহ, যা কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে—এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ,চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আমনের এই একটি আবাদ কৃষকের অল্প খরচে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন। যদি কোন দূর্যোগ বালা মসিবত না হয় তাহলে আমনের ফলনও খুব ভালো হয়। কৃষকের আমন ধান চাষে কোন রোগ বালাই না হয় সেজন্য প্রতিনিয়ত কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

২৯ বছরের অবদান ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেঃ -প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক

error: Content is protected !!

তানোরে আমণ চাষে ব্যন্ত সময় পার করছে কৃষকেরা

আপডেট টাইম : ১৬ ঘন্টা আগে
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেনঃ

 

রাজশাহীর তানোরে বৃষ্টি নির্ভর রোপা-আমণ ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এবছর আষাঢ় মাসের শুরু থেকেই আশানুরূপ বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি জমে আমন চাষে সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। গত ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার কামারগাঁ, মণ্ডুমালা, পাঁচন্দর ও তালন্দ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে জমি প্রস্তুত করে আমন রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তরুণ কৃষক মেহেদী হাসান সংগ্রাম বলেন, “এ সময়টি আমন চাষের জন্য উপযুক্ত। আমরা স্বর্ণা-৫, ব্রি-৫১, সুমন স্বর্ণা প্রভৃতি উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান রোপণ করছি।”

 

তানোর প্রচন্ড খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পানির অভাবের আশঙ্কা থাকলেও এবারের নিয়মিত বৃষ্টিপাতে কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে শ্রাবণ মাসের শুরুতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় বিল পাড়ের কিছু জমি তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যা কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ সুমন রানা বলেন, “আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে থেকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। বৃষ্টির কারণে মাজরা পোকা বা খোলপোড়া রোগের ঝুঁকি থাকলেও কৃষকদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।”কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এ বছর আমনের উৎপাদন লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং বীজ, সার ও পরামর্শ প্রদানে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তানোরের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সবুজ ধানের সমারোহ, যা কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে—এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ,চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আমনের এই একটি আবাদ কৃষকের অল্প খরচে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন। যদি কোন দূর্যোগ বালা মসিবত না হয় তাহলে আমনের ফলনও খুব ভালো হয়। কৃষকের আমন ধান চাষে কোন রোগ বালাই না হয় সেজন্য প্রতিনিয়ত কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


প্রিন্ট