ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মধুখালীতে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo গোদাগাড়ীর ওসি রুহুল আমিন আবারও রাজশাহী জেলায় শ্রেষ্ঠ Logo ইছামতি নদীর ভারতীয় পানিতে শার্শার শতাধিক একর জমির ফসল পানির নিচে Logo দৌলতপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত Logo ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট আউটলেট কাদিরদী বাজার শাখায় গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo ৫ই আগস্টের পর অনেক ভুয়া সমন্বয়ককে দেখা গেছেঃ -দুদক চেয়ারম্যান Logo হাতিয়ায় ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আনন্দ মিছিল Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১হাজার ৯শ’ হেক্টর জমির ফসল পদ্মার পানিতে নিমজ্জিত Logo ফরিদপুরে ‘কাচ্চি ভাই’কে লাখ টাকা জরিমানা Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ফরিদপুর জেলা ও শহর শাখার উদ্যোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ‌ জিপিএ ৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ!

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের ফিরোজ খাঁন গংদের ১২ শতাংশ জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল করে জোরপূর্বক একতলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে একই এলাকার মিজানুর রহমান গংদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের ফিরোজ খাঁনের সাথে একই এলাকার মিজানুর রহমান গংদের পাকুড়িয়া মৌজার (জেএল নং ২৮) বিএস ২২১ ও ২২৪ নং খতিয়ানের ২৩৮ ও ২৩৭ নং দাগের যথাক্রমে ৮ ও ৪ সর্বমোট ১২ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বেশ কয়েকবার এ নিয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেও কোন সুরাহা হয়নি।
আপোস মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, ফিরোজ খাঁন চলতি বছরের ৮ জুন আলফাডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালত বিরোধীয় জমিতে উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে মিজানুর রহমান গং বিরোধপূর্ণ জমিতে কিছু সংখ্যক রাজমিস্ত্রী নিয়ে একতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
পরে ফিরোজ খাঁন দখলের কাজে বাঁধা প্রদান করতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে এঘটনায় ফিরোজ খাঁন মিজানুর রহমানসহ আরো ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু থানা থেকে যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর পুলিশ সুপারের নিকট তিনি আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ফিরোজ খাঁন বলেন, ‘ওই জমির এস এ রেকর্ড, বি এস রেকর্ড আমাদের নামে রয়েছে। এছাড়া জমির ভূমি উন্নয়ন করও নিয়মিত পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু তারা সেই জমিতে জোরপূর্বক দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করছে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে থানাতে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ওই জমিতে ৮-১০ জন নির্মাণ শ্রমিক ভবন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এসময় জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, ‘জমিটি আমাদের শরীকি জমি। তাই এওয়াজ বদল করে খাই। এখন এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
আলফাডাঙ্গা থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ‘এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। এখন এটা আদালতের বিষয়। আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই।’

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মধুখালীতে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ!

আপডেট টাইম : ০৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১
স্টাফ রিপোর্টারঃ :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের ফিরোজ খাঁন গংদের ১২ শতাংশ জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল করে জোরপূর্বক একতলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে একই এলাকার মিজানুর রহমান গংদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের ফিরোজ খাঁনের সাথে একই এলাকার মিজানুর রহমান গংদের পাকুড়িয়া মৌজার (জেএল নং ২৮) বিএস ২২১ ও ২২৪ নং খতিয়ানের ২৩৮ ও ২৩৭ নং দাগের যথাক্রমে ৮ ও ৪ সর্বমোট ১২ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বেশ কয়েকবার এ নিয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেও কোন সুরাহা হয়নি।
আপোস মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, ফিরোজ খাঁন চলতি বছরের ৮ জুন আলফাডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালত বিরোধীয় জমিতে উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে মিজানুর রহমান গং বিরোধপূর্ণ জমিতে কিছু সংখ্যক রাজমিস্ত্রী নিয়ে একতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
পরে ফিরোজ খাঁন দখলের কাজে বাঁধা প্রদান করতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে এঘটনায় ফিরোজ খাঁন মিজানুর রহমানসহ আরো ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু থানা থেকে যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর পুলিশ সুপারের নিকট তিনি আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ফিরোজ খাঁন বলেন, ‘ওই জমির এস এ রেকর্ড, বি এস রেকর্ড আমাদের নামে রয়েছে। এছাড়া জমির ভূমি উন্নয়ন করও নিয়মিত পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু তারা সেই জমিতে জোরপূর্বক দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করছে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে থানাতে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ওই জমিতে ৮-১০ জন নির্মাণ শ্রমিক ভবন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এসময় জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, ‘জমিটি আমাদের শরীকি জমি। তাই এওয়াজ বদল করে খাই। এখন এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
আলফাডাঙ্গা থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ‘এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। এখন এটা আদালতের বিষয়। আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই।’

প্রিন্ট